মা বললো ,”আয়তো বাছা , বস আমার কাছে ,
আজকের এই খুশির দিনে,একটু পায়েস রাখা আছে।”
ছেলে বললো,”কী যে বলো ! কী হবে এই পায়েস !
১৯ বছরে ফাঁসির দড়িতে হয়েছি যে নিঃশেষ।”
কেঁদে আকুল ,আত্মহারা ,সেই সন্তান জননী-
ব্যাকুল কণ্ঠে জাগে,”ক্ষুদিরাম তোমায় নমি”।
কাঁদতে কাঁদতে ছুতে এলো মেদেনীপুরের ঢেউ,
বলে,”গুলিবিদ্ধ মাতঙ্গিনীকে বাঁচাও তোমরা কেউ!”
ছুটলো সেথায় মেয়ের মা,লুটিয়ে প’রে আঁচল,
তেরঙ্গা রঙ জড়িয়ে মেয়ে রইলো অবিচল।
“আসছি মা”,বললো মেয়ে,ফেলে রক্তজল ,
আকাশ বাতাস ধূলিকণায় শুধুই অশ্রুজল !
কঁকিয়ে তব উঠলো কেঁদে এই সন্তানহীনা,
ঘুমের দেশে গেলো চলে তার এক এক প্রার্থনা!
ওই যে দেখো আরেক শিশু,ঘোড়সওয়ারি হয়ে,
ঝাঁসির রাজ্য দাপিয়ে বেড়ায় পুত্র পিঠে নিয়ে!
এও যে তোমার আরেক মেয়ে,জাগিয়েছে ভরসা-
এঁর চোখেই মানুষ দেখে স্বাধীন হওয়ার প্রত্যাশা।
শেষ রক্ষা হলোনা তবু,নিভলো জীবনবাতি
কন্যাসম মাতা তুমি,তোমারে প্রণতি।
রক্ত দিলে স্বাধীন হবো-এই ভাষাতেই জানি,
পুত্র তোমার নেতাজী,আমরা চিরঋণী ।
রবি তোমার খেয়াল শিশু,লেখেন আপন ছন্দে
তাঁর সেই গান,কবিতা,”মা”তোমারই বন্দে।
বিলে তোমার ছেলেমানুষ,ভালোবাসায় পূর্ণ,
বিবেক আর আনন্দ দিয়ে গড়লো বিবেকানন্দ ।
এঁরাই তোমার বীরপুত্র,এঁরাই তোমার রাণী ,
স্বাধীন যে আজ স্বাধীনতায়,তাদেরই উদ্বুদ্ধ বাণী ।।
Osadharon 💓