এক যে আছেন ছদ্মবেশী লেখেন পদাবলী,
কন্ঠে কিসের ঝরনা ছোটে ? বেরয় গানের কলি ?
বালক খোলেন মনজানালা, দৃশ্য পরিভ্রমণ……….
দেখেন পুকুর বটের ছায়া, ঠিক যেন সে শ্রমন !
কখনো বা নাটক করেন মজেন রিহার্সালে,
বউ-ঠাকুরন স্নেহের হাতটি রাখেন পলে পলে।
গোয়েন্দা না বিপ্লবী সে,ভানু কিংবা সিংহ ?
ভারত তথা বিশ্ব সভায় বলেন, ‘আমি কিং হো’।
রাঙামাটির দেশে থাকেন, শহর অফিস পাড়া-
কলকাতাতে বাসে ট্রেনে ঘোরেন পাগল পারা।
কখনো বা জাহাজ ধরে কালাপানির দেশে-
পদ্মাবোটে বছর বছর থাকেন তিনি ভেসে।
ভেতর ভেতর স্বদেশী সে পরেন তো আলখাল্লা,
এমন মানুষ কেমনে চিনি বুঝিনা ছাই আল্লা।
পদ্য-নাটক-গল্প লেখেন আবার ছবি আঁকা,
এইতো আছেন জাপান -চীনে নয়তো বিলেত-ঢাকা।
মস্ত যে তার জমিদারি কাজের তো নেই ছুটি,
ভুবনডাঙ্গা থেকে ছোটেন শিলাইদহ কুঠি।
পোশাক-আশাক আজব রকম পরনে নীল জোব্বা,
নামের মানে লুকিয়ে আছে যখন ভাবি রোববার।
নামটা ভেবে বলতো দেখি আঁকলাম কার ছবি ?
খ্যাতির বিড়ম্বনায় বুঝি লুকোন বিশ্বকবি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তিনি বিশ্বজোড়া নাম,
সামান্য এই ছড়ায় তাঁকে প্রণাম জানালাম।