ওদের তখন কতো আর বয়স?১৮,১৯ হবে
তারুণ্যের তেজে দুজনে তখন সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত…
মিটিং মিছিল পিকেটিং বা মজদুরের বুকফাটা কান্না সবেতেই ছুটে যাচ্ছে,বুক দিয়ে আগলে রাখছে সবাইকে
ওরা অন্যায় সহ্য করে না,অত্যাচার সহ্য করে না শুধু ছড়িয়ে দেয় ভালোবাসা
১লা মে পাড়ার মোড়ে সূর্যের সাথে মিশে যাওয়া পতাকার রক্তিম অভার তলায় কি করে যেনো ভালোবেসে ফেললো ওরা একে অপরকে
ছেলেটি তখনও বেকার কোনো এক সংগ্রামের চিন্তায় মত্ত…
মেযেটির হাবভাবে কোথাও কি একটু পরিবর্তন এসেছে?
তারা আর একসঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেনা, আন্দোলন ও ছন্নছাড়া…
হটাৎ বজ্রপাতের মত খবর এলো যে কারখানার শ্রমিকদের জন্য লড়ছে ওরা সেই কারখানার মালিক পক্ষের কাছে প্রচুর টাকা নিয়ে মেয়েটি পালিয়ে গেছে বিদেশে ….
ছেলেটির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে,আধপোড়া সিগারেট টা আঙ্গুলে ছ্যাকা দিচ্ছে কখন….
সব আন্দোলন স্তব্ধ, পতাকাটা অর্ধ স্তিমিত…
স্লোগানে জোর নেই
পুড়ে যাচ্ছে একটা প্রাণ, সৎ রাজনীতির তালুক আজ সমাজবিরধীদের বস্তি
তাই ভোটের দিনে বিদেশ থেকে শৃঙ্খলা অফিসার হয়ে ফিরে আসা মেয়ে টি প্রথম যার মৃতদেহ তুলে আনে
সংবাদ মাধ্যম যাকে গুন্ডা লম্পট পরিচয় দিয়ে আবার খুন করছে
সে ছিল এক যন্ত্রণা ক্লিষ্ট ছেলে, বহু নীতির আন্দোলনে মেয়ে টির ফেলো কমরেড……..