14 ই আগস্ট, রাত 10 টা
উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর জেলার হাইওয়ে ধরে ঝড়ের বেগে ছুটে চলেছে রেঞ্জ রোভার গাড়িটি। গাড়ি চালাচ্ছে বিক্রম, সঙ্গে চার বন্ধু অবিনাশ ,রিতেশ, সম্বিত ও প্রতাপ। গন্তব্য হলো নিকটবর্তী নেপাল বর্ডার।কারণ ওদের কাছে খবর আছে আজ বর্ডারে ভালো মাল আসবে। মাল অর্থাৎ কোকেন। ওরা নতুন খোঁজ পেয়েছে এই আড্ডাটার, এখানে মালের দাম লোকাল মার্কেটের থেকে বেশ কম, আড়াই লাখের মাল পৌনে দুলাখেই পাওয়া যায় আবার কোয়ালিটি ও বেশ ভালো। গাড়ির বক্সে ভয়ঙ্কর জোরে ডিজে গান চলছে ,চারজনের হাতেই বিয়ারের বোতল জোরে জোরে হাসি ঠাট্টা গল্প হচ্ছে। অবিনাশ চেঁচিয়ে বলল “ আরে ভাই বিক্রম একটু আস্তে চালা বাইরের দিকে তাকানো যাচ্ছে না” , বিক্রম বলল “আস্তে চালালে গিয়ে দেখবি সব মাল ফুরিয়ে গেছে, দূর দূর থেকে লোকে যায় ওখানে,
আর তাড়াতাড়ি তো চালাতে হচ্ছে প্রতাপ এর জন্য , ব্যাটা তো ওর রাখেল এর ঘরে ঢুকেছে তো ঢুকেছে, আর বেরোবার নাম নেই, শালা এই রিতেশ দে আর একটা বিয়ার দে আমার টা ফুরিয়ে গেছে আর সম্বিত youtube থেকে কয়েকটা স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ চালা, কাল 4-5 জায়গায় ঝান্ডা তুলতে যেতে হবে, দাদাজি বলেছেন সামনের বছর নগরপালিকা র ভোটে আমায় দাঁড়াতে ” । অবিনাশ হেসে বললো ” নেতাজি কি জয় হো “, সবাই সমস্বরে বললো জয় হো, জয় হো । হঠাৎ করে রাস্তাটার পরের বাঁকে পাস থেকে ঝড়ের বেগে পরপর দুটো গাড়ি বেরিয়ে গেল, হঠাৎ প্রচন্ড আলোয় বিক্রমের চোখ যেন ধাঁধিয়ে গেল এবং তার ফলে স্টিয়ারিং টা কেঁপে গেল, বন্ধুরা চিৎকার করে উঠলো, ওরে দেখে দেখে।
15 ই আগস্ট সকাল 7 টা
বর্ষীয়ান ঠাকুর আদিত্য নারায়ন চৌধুরী সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পুজো দিয়ে বেরোলেন দেবী পাটনমন্দির থেকে, উনি আজ ভীষণ ব্যস্ত। পাশেই ওনার কার্যালয়, উনি একাধারে বলরামপুর জমিদার বংশের বর্তমান প্রধান ও বিধায়ক। প্রত্যেকদিন সকালে উনি এই প্রাচীন মন্দিরে পুজো দিয়ে নিজের কার্যালয়ে গিয়ে ঘন্টাখানেক বসেন। তার মধ্যে আজ স্বাধীনতা দিবস অনেক জায়গায় পতাকা উত্তোলন আছে, ভাষণ ও দিতে হবে, পার্টির পদযাত্রা রয়েছে, এই বয়সে আর এত চাপ নিতে পারেন না। হঠাৎ করে দুটো জিপ এসে তার রাস্তা আটকে দাঁড়ালো দুজন লোক হাত জোড় করে নেমে বললো ঠাকুর সাহেব তাড়াতাড়ি চলুন অনর্থ হয়ে গেছে, আপনার নাতির বিরাট অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে । কথাটা শুনেই আদিত্য নারায়ণের পায়ের তলার থেকে যেন জমি সরে গেল , উনি কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন “কি হয়েছে ? আমার প্রতাপ এর কি হয়েছে ? সুস্থ আছে তো ?” জিপ থেকে একজন বলল তা তো জানিনা ঠাকুর সাহেব আমরা একটা অন্য কাজে যাচ্ছিলাম, আপনার ছেলে ছোট ঠাকুরসাহেব আমাদের ফোন করে আপনাকে খবর দিতে ও নিয়ে আসতে বললেন। তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যান সবাই ওখানেই অপেক্ষা করছে ।
হাসপাতালে পৌঁছে আদিত্য নারায়ান দেখলেন তার পরিবারের প্রায় সকলেই সেখানে উপস্থিত পুলিশও এসেছে ও তার ছেলে মানবেন্দ্র নারায়ন এর সঙ্গে কথা বলছে । আদিত্য নারায়ান যেতেই সবাই শশব্যস্ত হয়ে সরে গেল ও তাকে একটা চেয়ারে বসার ব্যবস্থা করে দিলো। পুলিশ অফিসার জ্যোতিষ প্রসাদ ওনাকে প্রণাম করে করে বললো তাউজি আপনি শক্ত থাকুন আপনার নাতি ভালো হয়ে যাবে। উনি জিজ্ঞেস করলেন “ জ্যোতিষ কি হয়েছিল আমাকে বল”। অফিসার বললেন কাল রাতে নেপাল বর্ডার এর কাছে প্রতাপ দের গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করে পাশের নয়ানজুলি তে পড়ে গেছে। খুব সম্ভবত উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ির আলোয় চোখ ধাঁধিয়ে অ্যাক্সিডেন্টটা হয়েছে গাড়ি চালাচ্ছিল বিক্রম সিং রাঠোর বলে একটি ছেলে ও তার পাশে ছিল সম্বিৎ সিং দুজনেরই সিটবেল্ট বাঁধা ছিল তাই মেজর কিছু হয়নি একজনের নাকের হাড় ভেঙেছে একজনের মাথা ফেটে গেছে পেছনের সিটে ছিল আপনার নাতি প্রতাপ ও অবিনাশ, অবিনাশের অবস্থা ভালো না ইন্টার্নাল হেমারেজ হয়েছে আপনার নাতি মোটামুটি অক্ষত তবে গাড়ির মধ্যে বিয়ারের বোতল ছিল, আমাদের যা মনে হলো বোতল ভেঙে ওর হাতে ও গালে ঢুকে গেছে, প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে ,ডক্টর এর নির্দেশ মত ব্লাড ব্যাংকে লোক গেছে আর গাড়ির পেছনের সিটে ছিল ঋতেশ বলে একটি ছেলে, ছেলেটি স্পট ডেড ঘাড় ভেঙে গেছে। ওর বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে,হয়ত লোক এখনই আসবে। আদিত্য নারায়ণ উঠে দাঁড়িয়ে বললেন “ একবার দেখবো প্রতাপ কে একবার দেখব “ । মানবেন্দ্র এসে বলল “ঢুকতে তো পারবে না বাবা , বাইরের কাছে থেকে একটু দেখে নাও। আদিত্য নারায়ণ উঠে কাঁচের ফাঁক দিয়ে দেখলেন মাথায়ও হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে তার আদরের নাকি প্রতাপ শুয়ে আছে এবং স্যালাইন চলছে।
এমন সময় ডাক্তার বাবু নিজের চেম্বার থেকে ফ্যাকাশে মুখে বেরোলেন মানবেন্দ্র দৌড়ে গেলেন, ডাক্তার বললেন “ ঠাকুর সাহেব আপনি জানেন আপনার ছেলের ব্লাড গ্রুপ কি ? কোনদিন গ্রুপ টেস্ট করিয়েছিলেন ?” মানবেন্দ্র বললেন “না ডাক্তারবাবু প্রতাপ তো ভীষণ ফিট ছেলে কোনদিন সেরকম কোন শরীর খারাপ হয়নি তাই জন্য ব্লাড টেস্ট গ্রুপ টেস্ট করা হয় নি। কেন কি হয়েছে? কি ব্লাড গ্রুপ? ব্যাংক এ কি ব্লাড নেই নেই না থাকলে আমরা এখানে এত জন আছি, কারোর না কারোর তো মিলবেই , কারোর না মিলুক, আমাদের ছেলে আমার বা ওর মায়ের রক্ত নিশ্চয়ই মিলবে। আমরা রক্ত দিয়ে দেব আপনি এত চিন্তা করছেন কেন? আপনি আমার ছেলেকে ভালো করে দিন”। ডাক্তারবাবু বললেন “ ঠাকুর সাহেব আমি আপনাদের চিকিৎসা অনেকদিন ধরে করছি আপনাদের কার কি ব্লাড গ্রুপ আমার সব জানা আছে আপনাদের কারো ব্লাড গ্রুপের সঙ্গে প্রতাপ এর কোন মিল নেই কারণ প্রতাপের ব্লাড গ্রুপ অত্যন্ত বিরল ওর ব্লাড গ্রুপ হল h/h বা যাকে আমরা বলি বোম্বে ব্লাড গ্রুপ যেটা ভারত তথা পৃথিবীর মধ্যে একটি বিরল ব্লাড গ্রুপ তাই ওকে যদি রক্ত দিতে হয় ওই ব্লাড গ্রুপের কাউকেই আপনাকে খুঁজে বার করতে হবে কারণ আমাদের ব্লাড ব্যাংকে এবং আশেপাশের জেলার কোন ব্লাড ব্যাংক এই ওই গ্রুপের কোন রক্ত নেই এবং আগামী 48 ঘণ্টার মধ্যে ব্লাড না পাওয়া গেলে প্রতাপ কে বাঁচানো মুশকিল হবে”।
এই কথা শুনে সবার মাথায় যেন বাজ পড়লো, আদিত্য নারায়ন বাড়ি চলে এলেন এবং ফোনে পার্টির সকল নেতাকে জানালেন এবং খোঁজ নিতে বললেন। 5 ঘণ্টা বাদে পার্টির এক নেতা ফোন করে জানালো সে খোঁজ পেয়েছে জৌনপুর জেলায় একটা জেলে পরিবার আছে তাদের বড় ছেলের বোম্বে ব্লাড গ্রুপ, বছরদুয়েক আগে ছেলেটির একটি অ্যাক্সিডেন্ট হয়, তখন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে সে ভর্তি হয়েছিল। তখন ডাক্তারবাবুরা তার এই ব্লাড গ্রুপের কথা জানতে পারেন ছেলেটি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ শহরে ড্রাইভার এর কাজ করে এবং প্রতি 6 মাসে একবার করে ব্লাড ব্যাংকে এসে রক্ত দান করে। আদিত্য নারায়ান প্রচন্ড রেগে বললেন “ তোর মাথা ঠিক আছে আমি আমার নাতির শরীরে দলিতের রক্ত দেবো ! যাদেরকে আমাদের ছায়া মাড়াতে দিই না, আমাদের জমিতে এলে বা আমাদের নলকূপ থেকে জল খেলে মেরে ফেলি, তাদের রক্ত দেবো আমি, আমার নাতির শরীরে? অত জানিনা দলিতের রক্ত চলবে না, সাধারণ লোক খুঁজে বের কর। “ কিন্তু রাত অব্দি আর কোন লোক পাওয়া গেল না যার বোম্বে ব্লাড গ্রুপ আছে কারণ এই রক্তের গ্রুপ এতটাই বিরল যে 4 মিলিয়ন লোকের মধ্যে মাত্র একজনের থাকে। রাত্রে প্রতাপের অবস্থার প্রচন্ড অবনতি হল ডাক্তার বাবু জানালেন যে কাল সকালের মধ্যেই রক্ত দিতে হবে না হলে প্রতাপ কে বাঁচানো যাবে না। আদিত্য নারায়ণ অনেক বিবেচনা করে নির্দেশ দিলেন অবিলম্বে জয়পুর থেকে ছেলেটিকে নিয়ে আসতে এবং ওখানকার লোকাল ব্লাড ব্যাংকে যদি ওই ব্লাড গ্রুপের রক্ত থাকে তাহলে সেটিও নিয়ে আসতে কারণ প্রতাপের যা রক্ত লাগবে তা এই মুহূর্তে ছেলেটির পক্ষে পুরোটা দেওয়া সম্ভব নয়।
16 ই আগস্ট সকাল 8 টা
সকালের মধ্যে ছেলেটি চলে এলো, ছেলেটির নাম সুরেশ, বয়স 23-24 ছেলেটি প্রায় দেড় ইউনিট রক্ত দিল এবং সেইসঙ্গে ব্লাড ব্যাংক থেকেও এক ইউনিট রক্ত পাওয়া গেছিল সব মিলিয়ে প্রতাপের অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হল । আদিত্য নারায়ণ ও বাড়ির সবার যেন ঘাম দিয়ে জ্বর সারলো। ডাক্তার বাবু বললেন ঠাকুর সাহেব, দেখলেন তো রক্তের কোন জাত-ধর্ম-বর্ণ হয় না, এই দলিত সুরেশ না থাকলে আপনার নাতিকে কিন্তু বাঁচানো যেত না, আশা করি এর জন্য উপযুক্ত পুরস্কার ও পাবে । আদিত্য নারায়ণ বললেন ” সে তো বটেই ডাক্তার , সে তো বটেই ” ।
22 শে আগস্ট
এক্সিডেন্টের দিনসাতেক বাদে প্রতাপ হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ পেয়ে গেল। এরপর একদিন সুরিন্দর কে বললেন ছেলেটির গোটা পরিবারকে পার্টি অফিসে নিয়ে আসতে। ছেলেটি সপরিবারে এল, তার পরিবার অত্যন্ত কুণ্ঠার মধ্যে ছিল যে, একজন ঠাকুর তাদেরকে ডেকে সামনাসামনি কথা বলবে এ ছিল তাদের স্বপ্নেরও অতীত। আদিত্য নারায়ণ প্রচুর খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছিলেন এবং সবশেষে ছেলেটিকে ডেকে বললেন ” যে আমি শুনেছি তুমি শহরে ড্রাইভার এর কাজ করো ,
তুমি আমার নাতির জন্যে যা করেছ তার তো কোন দাম আমি দিতে পারবো না কিন্তু বাইরে যে গাড়িটি দাঁড়িয়ে আছে সেটা তোমায় দিতে পারি এই টেবিলের ওপরে রাখা চাবিটি নাও এবং কাল থেকে শহরে নিজের গাড়ি চালাও অন্যের গাড়ির ড্রাইভারি আর করতে হবে না তোমায় এ হলো তোমার ছোট্ট পুরস্কার এটুকু তুমি নাও । সুরেশ যেন আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল, অনেকদিন ধরেই ও ভাবছিল লোন করে একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনবে কিন্তু এরকম একটা নতুন গাড়ি পেয়ে যাবে তাও বিনামূল্যে এটা সে স্বপ্নেও ভাবেনি। আদিত্য নারায়ন বললেন ” ভেবেছিলাম স্বাধীনতা দিবসে নাতিকে হারাতে হবে, তুমি আজ তাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছো তোমার ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবো না, নাও দেরি করো না সন্ধ্যে হয়ে গেছে গাড়িতে ফুল টাংকি তেল ভরা আছে তোমরা বেরিয়ে পরো “।
হাইওয়ে ধরে খুশি খুশি মনে সুরেশ গাড়ি চালাচ্ছে, তার নিজের গাড়ি এটা যেন সে এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না। ঠাকুর সাহেবের উদারতায় সে মুগ্ধ, উনি নতুন গাড়ি শুধু দেননি, পুরো তেল ভরে দিয়েছেন এবং পেছনে আরও দুটো জারিকেনে ভর্তি তেল আছে। মনে হচ্ছে এই মাসে আর তেল কিনতে হবে না। হঠাৎ প্রায় 50 কিলোমিটার পেরিয়ে যাবার পর সুরেশের যেন মনে হল ব্রেকটা যেন ঠিকঠাক ধরছেনা, সুরেশ চিন্তায় পড়ে গেল নতুন গাড়ি গোলমাল করছে কেন ? সে তবুও গাড়িটা চালাতে লাগলো কারন আশেপাশে আগামী দশ কিলোমিটারের মধ্যে কিছু পাওয়া যাবে না হঠাৎ করে সামনে একটা ট্রাক এসে গেল সুরেশ ব্রেক মেরে পাশ কাটাতে গেল কিন্তু পারল না মুখোমুখি ধাক্কা লাগল ট্রাকটার সাথে।
পেছনে একটা গাড়িতে বসে সুরিন্দর আদিত্য নারায়ান কে ফোন করল আদিত্য নারায়ণ জিজ্ঞেস করলেন “ যে কি হয়েছে? কাজ কি হয়ে গেছে?” সুরিন্দর বলল “না কাজ পুরোপুরি হয়নি গাড়ির লোকরা আহত হয়েছে কারণ গাড়ি খুব আস্তে চলছিল”। আদিত্য নারায়ান বললেন “ তোদের দ্বারা কিচ্ছু হবে না বললাম যে ব্রেক অয়েল টা বের করে রাখ সেটাও ঠিক করে করতে পারলি না , যাগ্গে ছাড় প্ল্যান B তো রেডিই আছে গাড়ির পেছনে দেখ দুবোতল তেল রাখা আছে ওটাছড়িয়ে গাড়িটা জ্বালিয়ে দে আর ট্রাক ড্রাইভার টাকেও ছাড়িস না কেউ যেন বেঁচে না থাকে কেউ যেন জানতে না পারে যে ঠাকুর আদিত্য নারায়ণ চৌধুরী র নাতির শরীরে দলিতের রক্ত বইছে পুরো জায়গাটা পরিষ্কার করে সমস্ত প্রমান মিটিয়ে তারপরে আসবি, বাকিটা বলা আছে পুলিশ ম্যানেজ করে নেবে, আমি কালকেই নাতিকে নিয়ে বেনারস যাচ্ছি প্রায়শ্চিত্তের একটা পুজো করতে, আর ওকে বলে দিয়েছি ও ছমাসে একবার ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে নিজের রক্ত স্টোর করে আসবে এখন ফোন রাখ।। (সমাপ্ত)
—————————————————————————————————————————–
গল্পটিতে ছোট্ট পরিসরে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে আজ স্বাধীনতার 73 বছর পূর্তিতেও দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের কি অবস্থা, এবং গল্পটির পটভূমিকা উত্তরপ্রদেশ সেই জন্য হিন্দি সংলাপ রাখা যেত এবং সেটাই স্বাভাবিক হতো কিন্তু যেহেতু শাব্দিক একটি বাংলা ই পত্রিকা সেই জন্য পুরো গল্পটি বাংলাতে করা হয়েছে
©- প্রসূন রঞ্জন দাশ গুপ্ত
চিত্র সৌজন্য : গুগল