সারা শরীর জুড়ে
দগদগে ঘা,
টলটলে ফোসকা-
রক্ত, রস আর ঘামে
কী বীভৎসতা আমার সর্বাঙ্গে!
এখনও কিছুটা আছে বাকি-
জ্বলে শেষ হতে।
আমার কোলের অবলা সন্তানগুলো
আজ ভস্ম মাখা নির্বাক নিথর।
আধ গলা ঐ শরীরগুলো
কেউ গুনে দেখেছো কি?
নিস্পাপ ঐ অবলাগুলোকে
কেউ কি স্পর্শ করতে পেরেছ?
কেউ কি জানো,
কিভাবে রক্ষা পাব আমি
আর আমার সন্তানেরা?
আমার নিশ্বাসে আজ ধ্বংসের গন্ধ-
তোমরা কি শুনতে পাচ্ছো না
ঐ মহাকালের ধ্বনি!
দেখতে পাচ্ছো না
আমার জলন্ত এ শরীর!
নাকি তোমরা ভয় পেয়েছো-
লজ্জা পেয়েছো-
হয়তো বা একটু কষ্টও পেয়েছো!
আমি তো দিয়েছি –
আমার সবটুকু
উজাড় করে,
নিজেকে নিংড়ে।
প্রতিদান চাইনি কখনও।
কিন্তু আজ বড়ো কষ্ট হচ্ছে আমার।
অর্ধ উলঙ্গ হয়ে গেছি আমি।
এ পৃথিবী আমার –
আমি একে প্রান ভরে দান করেছি
আমার শীতল বাতাস,
আমার স্নিগ্ধ ছায়া,
আমার সুবৃহৎ কায়া।
আমি দুর্গম, আমি অনন্যা।
আজ তোমাদের কাছে দুহাত পেতে
প্রানভিক্ষা চাইছি, প্রতিদান চাইছি।
হে মহান মনুষ্য সমাজ
শুধু আমার জন্য নয়,
এই পৃথিবীর প্রতিটি প্রানের জন্য
প্রতিবিন্দু রক্তের জন্য
বাচিয়ে রেখ আমায়,
আমি তোমাদেরই একজন
আমি আমাজন।
চিত্র সৌজন্য : গুগল