সকাল থেকে মন টা খুব খুশির মেজাজ,
মনের ঘরে অবলীলায় বাসা নিয়েছে শুধু
অনুরাগ…
জীবনের ছন্দে বাঁধ সেধেছে কতকগুলি
হিসেব, যে গুলো কোন কারণে সময়ের ভিড়ে
বড় নগ্নতার সাক্ষী….
__বার বার শূন্যতার ভিড়ে আমি কোথায় যেন একা,
__কেন? আজ মনের ঘরে তুমি?
__এমন টা তো কখন ও চাই নি তবে….
আমার মনে তুমি?
__এটা কি ঠিক? হয়তো না,
__আমি ঠিক আছি নিজের একাকীত্ব, কাজ,
মনের একবৃন্তে,
__প্রায় সতেরো বছর পরে তোমার সাথে এভাবে
আবার দেখা হবে আমার ভাবিনি কখন ও…
পৃথিবীটা সত্যি খুব ছোট…
__ পার্ক স্ট্রিট এ আমার ছোট একটা নার্সিংহোমে
এ কাউন্সিলর এর কাজ আমার…
__এখানেই কিছু মানুষের বাঁচার ইচ্ছা নষ্ট হয়ে গেছে
তাদের নতুন করে বাঁচতে শেখানো.. এটাই আমার কাজ….
__সবার কথা ভাবতে ভাবতে নিজের জন্য বাঁচতে হয়… এটা ভুলেই গেছে… তবুও মুখে সব সময়
হাসি টুকু লেগে থাকে..
__বার টা ছিল শুক্রবার… আমি নাসিং হোম থেকে
বেরিয়ে bus stop এ ঝির ঝির বৃষ্টি পড়ছে,
হঠাৎ আমার সামনে এসে এক ভদ্রলোক
দাঁড়িয়ে পডলেন….
__আমি চমকে গেলাম… জানতে চাইলেন
“তুমি বিশ্বভারতী র নীলাশা?
খুব ভুল না করলে.. Year 2002…
মনে আছে আমায়? চিনতে পারলে আমায়?”
__আমি খুব আধো স্বরে উত্তর দিলাম…
কে বলুন তো? চিনতে পারলাম না তো?
__পড়নে সাদা পোশাকের মানুষ টা কে যে
কোনো দিন ভুলি নি তবুও প্রকাশ করতে
পারলাম না। মন টা খুব খারাপ হয়ে গেল,
__আমি নীতু.. Year 1997..
__কিছু মনে করো না, তোমাকে একদম চিনতে
পারি নি যে.. একদম চেঞ্জ…
__নীতু জানালো, কত বছর বলো তো?
তুমি এখন কোথায় থাকো? আর ফাইনাল
পরীক্ষার পর কোথায় চলে গেছিল? অনেক
খুঁজে ছি তোমায়… এমন ভাবে হারিয়ে যেতে
নেই.. আমি যে একা হয়ে গেলাম.. একবার আমার
সাথে বলে যেতেই.. একটু এখানে বসবে…
তোমায় অনেক কথা বলার আছে।
__নীলাশা, বেশী ক্ষণ পারবো না যে..
তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে হবে।
__বেশ, আমি তোমার পাশে বসতে পারি?
__নীলাশা একটু হেসে মাথা নেড়ে জানালো
বসো…
নীতু__একটু চা খাবে?
নীলাশা__আনো..
মনে মনে যাকে এতো
ভালোবাসে কিন্ত সেভাবে বলা
হয়ে ওঠে নি।
নীতু__সাবধানে গরম যে…
নীলাশা__মন টা চাইছে সব বলে দেবে আজ…
জানে মাঝে র সময় টা আর আসবে না..
এখন দু জন ই অন্যর জীবনের অংশ…
নীতু __হাল্কা ভাবে হেসে বলল কী ভাবছো?
আমি খুব চেয়ে ছিলাম তোমার হয়ে
থাকতে, আমরা এক গোত্রের ছিলাম,
এখন কার মতো একটা মোবাইল ফোন থাকলে
তোমার থেকে আমায় দূরে থাকতে হতো না..
আজ একসাথে ই থাক তাম..
নীলাশা__চোখের কিণারে জল এলো…
ফাইনালের পর বাড়ি এলাম
আমার ডাক্তার কাকা হঠাৎ এক ট্রেন
দুর্ঘটনায় মারা যায়, আমি নিজে কে ও
ভুলে গেলাম, কোন এডুকেশন করতে
পারিনি একটা বছর, তোমার কথা তাই
কাউকে বলতে পারিনি, বাড়ি থেকে বিয়ে
ঠিক করে ফেললো, মা, বাবা কে কিছু জানাতে
পারি নি…. জলের ফোটা এসে নীতুর পায়ের
কাছে এসে পড়লো…
নীতু__এমন করো না, আমি ভালো থাকবো না…
আর হারিয়ে যেও না.. আমরা বছরে একবার
দেখা করবো বলো…
নীলাশা__নাগো, আর হয় না।
নীতু__কেন?
নীলাশা__আর কিছু নয়, মন ভরে গেল। তবে একদিন আমার বাড়ি তে এসো. নিজের কার্ড টা বলে বের করে দিল
আজ আসি…
নীতু __ফোন নম্বর টা রেখো ইচ্ছে হলে ফোন
করো…..
নীলাশা__বাড়ি আসতে ভুলে যেও… না… আজ র
বাড়িতে আজ নীতু আসার ক থা…