পাড়ার রোয়াকে আলোচনাতে তুফান তোলা একদল ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি # দিপুদা(দিঘা-পুরী-দার্জিলিং)কে নিয়ে তুমুল প্রতিস্পর্ধার আলোড়ন তুলে ফেলার ফাঁকে হুট্ করে কানে ভেসে এলো..কেউ আবার বাঙালি হয়ে গর্বের সাথে দিঘা কে চেনেন না জানাচ্ছেন,কেউ আবার মনের কিছু জমে থাকা ক্ষোভ.হতাশা উগরে দিচ্ছেন স্বপ্নসুন্দরী কে নিয়ে..অবশেষে নিজেই ওই দলে ভিড়ে আজও নিজের পরম ভালোবাসা [এ প্রসঙ্গে বলে রাখি প্রথম প্রেম এবং শেষ প্রেম যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন আমার কাছে দিঘাই আজও]কে চেনাতে চেষ্টা করলাম ওঁনাদের..অবশেষে প্রতিস্পর্ধার নিষ্পত্তি হলো;সকলেই স্বীকার করলেন প্রেমিকাই সেরা..এবারে শাব্দিক এর বিচারাধীন আমার প্রেমিকা..
আচ্ছা ধরুন তার নাম দিলাম #আদরপ্রিয়া..এই প্রিয়া কে আদর করছি ধরুন..ধরুন প্রেমিক হৃদয় আদরের আলোড়ন তুলেছি..আবার ধরুন তার নাম এখন থেকে #আগুনপ্রিয়া..এই প্রিয়ার আঁচে পুড়ে মরতেও রাজি আমি;কাব্যি করছিনা মশাই সশরীরে প্রেম করছি তো..মেট্রো নয়;নিজের তাকে নির্জনে নিভৃতে..আপনি মারধর করলেও আগুনের আঁচে পুড়বেন কিন্তু..ধুত্তুরি !! আগুন,আদর এসব না করে এবারে তাহলে #কাব্যপ্রিয়া নামে ডাকি,এবারে কিন্তু জমে ক্ষীর হবে মনে হচ্ছে না আপনাদেরও??মনে হচ্ছে কাব্যি করবো..তার সাধ্যি কই?যখন লিখবো ভাবছি কাব্য;বলছে গাও গান..আবার গান গাইতে গেলে বলছে করো কাব্যি..খামখেয়ালি প্রেমে আচ্ছন্ন তখন…নাহ নাহ এবারে আমি সমস্ত খামোকা খেয়াল কে এক ডাকেই করবো কুপোকাত..রেখে ফেললাম নাম #জীবনপ্রিয়া..যাহ আগেকার সব নাম ক্যানসেল তাহলে?কি হবে এবারে?এতক্ষন ধরে দুপাত্র খেয়ে এসব নামধাম দেওয়া চলছিল..??রাগ হচ্ছে আপনাদের ও?ভাবছেন বেকার সমস্যা এবং কথা বাড়িয়ে প্রলাপ বকছে..
না,নাহ তা নয়..কিছুতেই বকতেই পারিনা..#কাব্যের #আগুনে #জীবন কে পোড়াতে না পারলে দিঘা কি চিনলেন বয়েন দিকি?দিঘা কি শুধুই টাইম পাস?কিংবা ও-কথা কু-কথায় রাগ হলে মন ভালো করার আস্তানা?কিংবা ভ্রমণপ্রিয় জাতির অনাথ বোধ করলে তবেই এ স্থান কে পাত্তা দেওয়ার জিনিস?নাহ রে ভাই না..বাড়ি পালিয়ে কত শত যুবক-যুবতীর জীবনের কাব্য রচিত হওয়ার স্থান;অজানা মোহনায় উচ্ছল নদীকে বশ মানানোর স্থান;কিংবা মাঝ সমুদ্রে স্রোতের বিপরীতে অবাক বিস্ময় জলজ প্রাণীদের একটু ছুঁয়ে দেখার স্থান..আরও কত কি…আমি তো তাই বিড় বিড় করি;সকলের অভয় পেলে চেঁচাতে প্রাণ খুলে-
১
এক আকাশ জঙ্গল, নাকি সাগরের নিভে আসা আলো,
কে তোকে সিঁদুর পরালো?
২
“আমি তোকে একবার চুমু খেতে পারি?”
দিঘা’কে প্রশ্ন করে চুপিচুপি ভীতু তালসারি!
৩
মেঘলা দুপুরবেলা দিঘা ছিল নিরালা ও গ্রামীণ,
ঝিনুক-বিছানো পথে হেঁটে গেছি তুই আর আমি
৪
যতদূরে তুই গেলি, আমি গেছি আরও যত দূরে,
ততদূরে ভাঁটা গেল, শংকরপুরে!
৫
এবং জোয়ার এলো, ডুবে গেল গোড়ালির মন,
দূরত্ব মানে জানে দূরে চুপ ঘন ঝাউবন।
৬
যতদূর চোখ যায় চেয়ে দেখি বালি আর বালি…
এমন সাগরতীরে, মেয়ে, তুই আগুন পোহালি?
৭
সারা পথ সাথে ছিল শরীরের জাদু-মোমবাতি,
মোহনার কাছে পথ হারিয়েছে দু’জনে হঠাৎ-ই!
৮
সূর্যের ইশারায় ঘুমে গেছে মাঝিদের জাল,
তোর হাত ছুঁয়েছিল যুবকের নির্জন ডাল…
৯
রূপালি মাছের আঁশে লেগে ছিল আদরের ঘ্রাণ
সারারাত জেগেছিল কবিতা’রা, আর কিছু এলোমেলো গান।
১০
ছেঁড়া মশারির জালে ভিড় করে ক্ষুধাতুর কাকের সমাজ
ততটাই খিদে ছিল সারারাত আমাদের আজ!
১১
যে প্রেমিক উগরেছে লৌহ-লাভা পৃথিবীর গা’য়,
সেই স্রোতে ভেসে গেল জীবনের যৌথ সমবায়।
১২
যে লোকটি হেঁটে গেল সাগরের অভিমুখে অবেলায়
সে কি জানে কাকে বলে জীবন,সংসারে বাঁচা??
বিশ্বাস করুন..এভাবেই কাব্য করে আপনাদের মূল্যবান সময় অপচয় করিয়ে আমার #জীবন_প্রিয়া দিঘা কে চেনাতে পারি,এর বেশি আর সাধ্য নেই..যদি আপনিও এভাবে চিনে থাকেন সহমত প্রকাশ করবেন;না চিনলে দ্বিমত প্রকাশ করবেন না;বরং এভাবেই চিনে নেবেন প্রত্যাশা রাখলাম;আর যদি কোনোভাবেই না চিনে থাকেন;আপনার জন্য অনেক সমবেদনা রইলো..দয়া করে বেড়িয়ে মজা পাচ্ছেন বলবেন না..অন্য যা কিছু বলুন..রূঢ় ভাষা প্রয়োগ হলে গেলো?ক্ষমাপ্রার্থী;আসলে নিজের প্রিয়া তো;তাই বড্ডো এখন ইগোসেন্ট্রিক;পোজেসিভ আমি..ঐ বাঙালিদের মতো বুইলেন কিনা?নিজ গুনে ক্ষমা ঘেন্না করে দেবেন..🙏 🙂
©️শঙ্খচিল