লব আগরওয়াল: ভারতের করোনা যুদ্ধের মুখ

প্রোজ্জ্বল বন্দোপাধ্যায়
5 রেটিং
986 পাঠক
রেটিং দিন
[মোট : 2 , গড়ে : 5]

পাঠকদের পছন্দ

ভারত নামক দেশটির একশো ত্রিশ কোটি মানুষের মধ্যে বৈচিত্র্য অবশ্যই উপস্থিত, আবার সেই বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যও ইতিউতি উঁকিঝুঁকি মারে। সেই ঐক্য নানারকম ক্ষেত্রবিশেষে আত্মপ্রকাশ করে। ভারতীয় মননে তেমনই একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল ব্যক্তিপূজা। ভারতীয়রা সর্বত্রই বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইকন খোঁজেন, যিনি আবির্ভূত হন সাক্ষাৎ ঈশ্বরের বরপুত্র ইমেজ ধারণ করে, যেন তিনিই রক্ষা করবেন একশো ত্রিশ কোটির সম্মান। গোল বাধল করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে। এক্ষেত্রে যদিও বাস্তবক্ষেত্রে আইকনের কোনও অভাব নেই। ডাক্তার থেকে নার্স, ব্যাঙ্ককর্মী থেকে পুলিশ, এছাড়াও বেশ কিছু পেশার সঙ্গে জড়িত বহু মানুষ এখনও রাস্তায় বেরোচ্ছেন, করোনার সঙ্গে তাঁদের সম্মুখ সমরে লড়তেও হচ্ছে। এঁরা প্রকৃতপক্ষেই যোদ্ধা। কিন্তু, ভারতবাসীর তাতে মন ভরল কই! তাঁরা চান একটি ভরসার ঝুলি উপুড় করা ব্যক্তিত্ব, যাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে তাঁরা ১৫ই আগস্টের দুপুরে ইকো পার্কে আইসক্রিম চেখে দেখার আগাম পরিকল্পনা সেরে রাখতে পারবেন। সেই মাপের মনের মত আইকন অবশ্য এখনও ভারতবাসী পাননি, তবে পেয়েছেন একটি মুখ, প্রতিদিন বিকেল চারটে নাগাদ যে মুখ হাজির হয় নিত্যনতুন তথ্য ও আশার বাণী নিয়ে। তিনি আর কেউ নন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল।
        কে এই লব আগরওয়াল? তিনি যে একজন আইএএস অফিসার, এটি তাঁর পদের ওজন থেকেই সহজেই অনুমেয়। যদিও এটিই লবের সাফল্যের মুকুটের একমাত্র পালক নয়। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের সাবেক বাসিন্দা এই সৌম্যদর্শন মেধাবী অফিসার আইআইটি প্রাক্তনী ও বটে। দিল্লি আইআইটি থেকে বি টেক উত্তীর্ণ লবের অবশ্য বরাবরই প্রশাসনিক কাজের দিকেই ঝোঁক বেশি ছিল। আইএএস মহলে রসিকতা আছে, লব যেখানেই হাত দিয়েছেন সোনা ফলিয়েছেন। মাত্র আটচল্লিশ বছর বয়সেই সামলে ফেলেছেন একাধিক গুরুদায়িত্ব। ১৯৯৬ ব্যাচের অন্ধ্রপ্রদেশ ক্যাডারের এই আইএএস সেরাজ্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রশাসনিক কাজ নিপুণ দক্ষতায় সামলে দিয়েছেন। অন্ধ্র প্রশাসনে এখনও তাঁর কর্মদক্ষতার কথা মুখে মুখে ফেরে। সাধারণ ভারতীয়দের যখন একটি কর্মক্ষেত্রে মন বসিয়ে নিতে পারলে উন্নতির তাগিদ দেখা যায় না, লব সেখানে এক মূর্তিমান ব্যতিক্রম। সেকারণে চল্লিশোর্ধ বয়সে লবের উপলব্ধি হয়, আইএএস হিসেবে নিজস্ব দক্ষতার যাচাইয়ের সময় এসেছে। চ্যালেঞ্জ নিতে অকুতোভয় এই অফিসার কেন্দ্রীয় সরকারে যুক্ত হবার জন্য আবেদন করেন। অত্যন্ত ভাল ট্র্যাক রেকর্ডের অধিকারী এই দক্ষ অফিসারকে সাদরে গ্রহণ করে দিল্লি এবং ২০১৬ সালের ২৮শে আগস্ট তাঁকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব পদে নিযুক্ত করা হয়। 


           অনেকে রসিকতা করে বলেন যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অবস্থা হল ফুটবলের গোলকিপারের মত। গোলকিপার দক্ষ হাতে গোল রক্ষা করলেও জনগন বাহবা দিতে চান না, অথচ একটি ভুল করলে বাছাই বিশেষণ প্রয়োগ করতেও পিছপা হন না। সাধারণ অবস্থায় বিদেশ, স্বরাষ্ট্র বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গ্ল্যামারের ছটায় ঢাকা পড়ে থাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অথচ যে লব এখন এসেছেন প্রচারের আলোয়, সেই তিনিই গত তিনবছর প্রচারের আলো না থাকা সত্ত্বেও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকে পাবলিক হেলথ, গ্লোবাল হেলথ, হেলথ টেকনোলজির মত জটিল বিষয়গুলির দায়িত্বে বর্তমানে তিনি নিজেই আছেন। জি ২০ ভুক্ত দেশগুলির স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটিতে ভারতের প্রতিনিধি তিনিই। এবং, জি ২০ আলোচনায় যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ডিজিটাল টাস্ক ফোর্স গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তার পিছনেও আছে তাঁর উর্বর মস্তিষ্ক। বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে স্বাস্থ্য পরিকল্পনার দুরূহ কাজটিও ভারত সরকারের তরফে করে আসছেন অন্ধ্র ক্যাডারের এই আইএএস। গত বছর অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ইউএস – ইন্ডিয়া হেলথ ডায়ালগ ‘ অনুষ্ঠানেও ভারতের মুখ ছিলেন আগরওয়াল। বরাবরই প্রচারের আলো এড়িয়ে চলা এই অফিসারকে যখন করোনা মোকাবিলার দুরূহ দায়িত্ব দেওয়া হল, তখন বহু মানুষই অবাক হয়ে যান, কিছু ক্ষেত্রে দেশীয় আমলারাও ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন। অবশ্য লব আগরওয়ালের বিভিন্ন সময়ের সতীর্থরা আদৌ অবাক হননি, কারণ প্রাক্তন সতীর্থের প্রশাসনিক দক্ষতা সম্পর্কে তাঁদের মনে কোনও সংশয় ছিল না। 
          ” প্রথম প্রথম যারা লব স্যারের অধীনে কাজ করতে শুরু করেনতাঁরা স্যারের উপর অত্যন্ত বিরক্ত হন “, বলছিলেন লব আগরওয়ালের অধীনে কর্মরত স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্মচারী। মধ্যবয়সী এই অফিসারকে দেখলেই যেমন সুশৃঙ্খল এক ব্যক্তিত্বের অধিকারী মনে হয়, উনি সত্যিই তাই, অন্তত তাঁর দপ্তরের কর্মচারীদের মত তাই ই। অনেক ক্ষেত্রেই নাকি কাজের নেশায় পাগল এই আইএএস এর সময়ের হিসেব থাকে না। দিনে বারো তেরো ঘণ্টা কাজ করা নাকি জলভাত তাঁর কাছে, আর করোনা সংক্রান্ত দায়িত্ব পাওয়ার পর সেই সময়সীমা বেড়ে পোঁছে গেছে প্রায় পনের ষোল ঘণ্টা প্রতি দিনে। সমগ্র দেশের প্রতি প্রান্ত থেকে করোনা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ, অন্যান্য মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় সাধন, এরই মাঝে আগ্রাসী সংবাদমাধ্যমকে ঠান্ডা মাথায় সামলানো, সব সামলে কার্যত এখন আগরওয়াল সাহেবের বাড়িতে থাকার সময়কাল শুধুই ঘুমোনোর কটা ঘণ্টা। শনি রবিবারও এই নিয়মের ব্যতিক্রম নেই। “স্যারের কাছে অবশ্য এটা কোনও বড় কথা নয়“, বলছেন সেই কর্মচারী, কঠিন চ্যালেঞ্জ পছন্দই করেন যাঁর স্যার। যদিও লব আগরওয়ালের এই অত্যধিক পেশাদার নিয়মনিষ্ঠার কারণে কপাল পুড়েছে তাঁর দপ্তরের অন্যান্য কর্মীদের, স্যারের পাল্লায় পড়ে যাঁদের বাড়ি যাওয়া কার্যত শিকেয় উঠেছে। সাধে কি আর লবের সাথে কাজ করতে ভয় পান তাঁরা! অবশ্য যোগ্য ও কর্মঠ কর্মচারীদের মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা করতেও ভুলছেন না এই আইএএস। আসলে তিনি জানেন কিভাবে সকলের থেকে কাজ বের করে আনতে হয়। 
          কেন্দ্রীয় সরকার যখন এই আন্তর্জাতিক সঙ্কট মেটানোর দুরূহ দায়িত্ব লব আগরওয়ালের কাঁধে তুলে দেয়, তখন বিস্মিত হলেও মনে মনে কারণটি বুঝতে ভুল হয়নি তাঁর বহু সহকর্মীর। গত দুই মাসে তাঁরা বুঝেছেন তাঁদের ধারণাই ঠিক ছিল! লবের অত্যন্ত ঠান্ডা মাথা, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাই লবের উপর বিশ্বাস রাখতে প্রেরণা জুগিয়েছে সরকারকে। অবশ্য একটি বিষয়ে এখনও কূলকিনারা পাচ্ছেন না তাঁর সহকর্মীরা। যে লব আগরওয়াল অত্যন্ত অন্তর্মুখী হিসেবে পরিচিত, প্রচারের আলো যাঁর একদম নাপসন্দ, তিনি অবলীলায় কিভাবে মিডিয়ার বিষাক্ত সব ডেলিভারি সামলে ব্যাট করে চলেছেন তার ব্যাখ্যা এখনও ঠিকমত খুঁজে পাননি তাঁরা। আগরওয়ালের হিমশীতল মস্তিষ্ক, যে কোনও পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা এই কাজে তাঁকে সাহায্য করছে বলে মনে করছেন তাঁরা। বরাবরই হোমওয়ার্কটা ভালই করেন তিনি, আর সেই হোমওয়ার্কের নমুনা প্রতিদিনের সাংবাদিক বৈঠকেই দেশ পাচ্ছে। গত দেড় মাস ধরে প্রতিদিন নিয়ম করে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হচ্ছেন আগরওয়াল, একবারের জন্যও তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারেননি সাংবাদিকেরা। এই সময়কালে কেন্দ্রীয় সরকারের সব সিদ্ধান্তই যে প্রশ্নের উর্ধ্বে ছিল, তা আদৌ নয়। কিন্তু সমস্ত তথ্য সহ ভবিষ্যত পরিকল্পনা এত বিশদে মাথায় রাখতে পেরেছেন আগরওয়াল যে, সাংবাদিকদের পক্ষে তাঁর ডিফেন্স ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি। অন্তর্মুখী এই অফিসারের এই রূপান্তর চমকে দিয়েছে আইএএস মহলকে। অতীতে বহু আগ্রাসী সংবাদমাধ্যম দক্ষ হাতে সামলেছেন যিনি, সেই অবসরপ্রাপ্ত  আইএএস অনিল স্বরূপ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লব আগরওয়ালকে নিয়ে তাঁর মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রজন্মের  এই অফিসার যেভাবে এই সঙ্কটের মুহূর্তে স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম সচিব হিসেবে করোনা মোকাবিলার স্ট্র্যাটেজি নিরূপণের পাশাপাশি সরকারী মুখপাত্রের কাজটিও সামলাচ্ছেন, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। ” আমি অত্যন্ত খুশি লবের জন্য। আমি  তাঁর  মিডিয়া ব্রিফিংগুলি লক্ষ্য করেছি। খুবই সুন্দর তথ্য মূলক উপস্থাপনা। একজন তরুণ প্রজন্মের আমলাকে যেভাবে এইসমস্যার মুহূর্তে সামনে এগিয়ে দেওয়া হল এবং যে দক্ষতার সাথে তিনি বিষয়টি সামলাচ্ছেনতা দেখে আমি অত্যন্ত খুশিও তৃপ্ত “, বলছেন স্বরূপ। 
             মালয়ালি জনস্বাস্থ্য গবেষক ডক্টর উম্মেন জন, যিনি গ্লোবাল হেলথ প্রোগ্রামে লব আগরওয়ালের সঙ্গে কাজ করেছেন, একেবারেই অবাক নন তাঁর একদা কমরেডের কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করে। ” ওর সব থেকে বড় গুণ হল যেওর দৃষ্টি ভঙ্গি অত্যন্ত স্বচ্ছ, ” সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানাচ্ছেন জন, ” যেকোনও ক্ষেত্রেই ওর মধ্যে ভবিষ্যতে কিহ তেপারে সেই দেওয়াল লিখন পড়ে ফেলার এক বিরল  ক্ষমতা আছে, যাকে খেলার পরিভাষায় বলা হয় ম্যাচরিডিং।” জনের বিশ্বাস, এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি, তাই সেই ভবিষ্যত পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অফিসার থেকে কর্মচারী, সকলকেই মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন আগরওয়াল। উম্মেন জনের মতে, ভারতে বেশ কিছু পদক্ষেপ এই করোনা মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে যেগুলি পুরো বিশ্বের নিরিখেই বেশ অভিনব। তার অন্যতম হল, লকডাউন জারির পূর্বেই মার্চ মাসের গোড়া থেকেই দেশের সর্বত্র ফোনের কলার টিউনের মাধ্যমে করোনা সচেতনতার বার্তা দেওয়া। এর পিছনে লব আগরওয়ালের মস্তিষ্ক দেখছেন তিনি। বস্তুত, নর্থ ব্লক সূত্রেও এই কলার টিউন ব্যবহার থেকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ এর সৃষ্টি, সবকিছুর পিছনেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শের কথা স্বীকার করা হয়েছে। উম্মেন জনেরা অবশ্য এটাই প্রত্যাশা করেছিলেন, কারণ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কোভিড ১৯ মোকাবিলার মূল দায়িত্বে আছেন লব আগরওয়াল স্বয়ং। দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, লব নিজে যেরকম নাছোড় প্রকৃতির মানুষ, এই সমস্যা সম্পূর্ণ নির্মূল করা পর্যন্ত একটুও ঢিলে দিতে রাজি নন তিনি। 
             নিঃসন্দেহে লব আগরওয়াল ক্রিকেটার বা ফিল্মস্টারদের মত তারকা হতে পারেননি বা ভবিষ্যতেও পারবেন না। করোনা পরিস্থিতিতে ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীরা যেভাবে মাঠে নেমে মোকাবিলা করছেন সেটাও তিনি করছেন না। কিন্তু তাঁর কৃতিত্ব এটাই যে, কনসার্টের ব্যান্ড মাস্টারের মতই তিনি সকল দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে ১৩০ কোটি মানুষের দেশে নোভেল করোনা বিরোধী যুদ্ধ পরিচালনা করছেন। একইসাথে, সরকার এবং জনগণের মধ্যের সেতু নির্মাণের দুরূহ কাজটিও অবলীলাক্রমে করে চলেছেন তিনি। বিশাল জনসংখ্যার আইকন সর্বস্ব এই বৃহৎ রাষ্ট্রে লব আগরওয়াল যেভাবে নোভেল করোনা বিরোধী যুদ্ধের ফ্রন্ট ফিগারে পরিণত হয়েছেন, সেটি অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্র:
১। TheNewIndianExpress (অনলাইন সংস্করণ)।
২। অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
৩। অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
। অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
৫।TheEconomicTimes
৬।ইটিভিভারত নিউজ পোর্টাল।

লব আগরওয়াল
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন:

রেটিং ও কমেন্টস জন্য

  • Anonymous June 5, 2020 at 7:01 pm

    good

  • নতুন প্রকাশিত

    হোম
    শ্রেণী
    লিখুন
    প্রোফাইল