(১)
কেমন আছো আস্তরনের ভীড়ে
কেমন আছো শুকনো নদীর তীরে
কেমন আছো বলতে না পারা কথায়
কেমন আছো না ওল্টানো পাতায়
কেমন আছো ফিফটি ফিফটি শীতে
কেমন আছো বেসুরো সংগীতে
কেমন আছো মরীচিকার ফাঁদে
কেমন আছো আকাশ দেখার ছাদে
কেমন আছো.. কেমন আছো.. কেমন আছো ….
(২)
কেমন আছো বজ্রকঠিন যুক্তাক্ষরে
কেমন আছো সব অভিযোগ গোপন করে
কেমন আছো শীত লুকোনো বালিশ কাঁথায়
কেমন আছো আধুনিকতার ছত্রছায়ায়
কেমন আছো পাতা ঝরা গাছের ডালে
কেমন আছো প্রথম প্রেমের গ্রীষ্মকালে
কেমন আছো ঝেলতে পারার সাহস নিয়ে
কেমন আছো প্রিয় গান গুনগুনিয়ে….
(৩)
কেমন আছো মন থেকে বহু দূরে
কেমন আছো কুয়াশার কুঁড়েঘরে
কেমন আছো মাটির ভাঁড়ের চায়ে
কেমন আছো অ্যালার্ম ঘড়ির ভয়ে
কেমন আছো আশ্রয়হীন বুকে
কেমন আছো ঋণ করে পাওয়া সুখে
কেমন আছো সিঁথিতে লুকানো স্বপ্নে
কেমন আছো পরিপাটিহীন যত্নে.
(৪)
কেমন আছো শীলমোহরের ছাপে
কেমন আছো হাতের তালুর তাপে
কেমন আছো স্মার্ট টেলিফোনে
কেমন আছো আনস্মার্ট আলিঙ্গনে
কেমন আছো সারাদিন শুধু শুয়ে
কেমন আছো এতগুলো কাজ নিয়ে
কেমন আছো কৃপণ শীতের রোদে
কেমন আছো ব্যর্থ অনুরোধে…..
(৫)
কেমন আছো শহরের উপশিরায়
কেমন আছো অল্প চলাফেরায়
কেমন আছো একমুঠো সাদা চালে
কেমন আছো পুরোনো সব ভুলে
কেমন আছো এক ভাবে শুধু চেয়ে
কেমন আছো কিচ্ছুটি না পেয়ে
কেমন আছো কষ্ট চেপে হেসে
কেমন আছো বড্ড ভালোবেসে
(৬)
কেমন আছো সিলিং ফ্যানের শীতে
কেমন আছো খুব চেনা ইঙ্গিতে
কেমন আছো চুল না ভেজা স্নানে
কেমন আছো দুই শালিকের দিনে
কেমন আছো ফুচকা জলের ঝালে
কেমন আছো ঠোঁট লেগে থাকা গালে
কেমন আছো সহজ আড়ম্বরে
কেমন আছো UNKNOWN নাম্বারে…
কেমন আছো..কেমন আছো..কেমন আছো..
ক্লান্তি তৈরি করল “কেমন আছো”র ব্যবহার।
“কেমন আছো” বাদ দিয়ে বরং পড়া যাচ্ছে