এপার আর ওপার বাংলার কথোপকথন

মনোজ কুমার রায়
0 রেটিং
565 পাঠক
রেটিং দিন
[মোট : 0 , গড়ে : 0]

পাঠকদের পছন্দ

আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকার একটি প্রান্তিক জিলা হল করিমগঞ্জ। সীমান্তবর্তী এই জেলার পাশ দিয়ে কুশিয়ারা নদী দীর্ঘদিন থেকে প্রবাহিত হয়ে চলছে। কিছু দূরে এগিয়ে যাওয়ার পর তাঁর নাম পাল্টে হলো সুরমা নদী।ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায় করিমগঞ্জ জিলা শহর। এপার ওপার বাংলা একসময় সম্পূর্ণ করিমগঞ্জ ও কাছাড় জিলা সহ বিস্তীর্ণ ছিল। ১৯৭২ সালে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সৈন্য তথ্য বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী দীর্ঘদিনের সংগ্রামের পর স্বাধীনতা লাভ করে। তারপর দেশ বিভাজনের পর যারা রিফিউজি ছিল তাদের অনেকেই ভারতের নাগরিকত্বের সুযোগ নেয়। আবার বাংলাদেশের ও অনেক নাগরিক পুনরায় তাদের দেশে ফিরে পূনর্বাসন করে।
     এভাবে আমাদের বর্তমান জিলা পূর্বে বাংলাদেশের সিলেট জিলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে। বর্তমানে ও পূর্বেকার মত বহাল তবিয়তে আছে।ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে সীমান্তবর্তী সমস্যা গুলো কূটনৈতিক তৎপরতার দ্রুত মীমাংসা হয়।সীমান্তবর্তী এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া বসানো হয়। সীমান্ত অঞ্চলে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দ্বারা সীমান্তে চৌকি স্হাপন করা হয়। বর্তমানে উভয় দেশই শান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।         করিমগঞ্জ জেলা সদর থেকে প্রায় ৮কি,মিদূরে সূতার কন্দিতে ভারত বাংলাদেশের একটি চেকিং গেইট আছে। যেখানে পর্যটক , ছাত্র ছাত্রীরা ও ব্যবসায়ীরা পাসফোর্ট নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ই-মাইগ্রেশন চেক শেষে ভারতে প্রবেশ করার অনুমতি লাভ করে। কাছাকাছি দুই দেশের দুই জেলায় ভাষা সিলেটি।তাই উভয়দেশের উভয় জেলাই একে অপরকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায়।ভারত ও বাংলাদেশের ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতির নানা চর্চায় খ্যাতনামা শিল্পী সাহিত্যিকদের পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতে এনে সম্মান দেওয়া হয়। এপার ওপার দুদেশ কাছাকাছি হলে নদীর স্রোতের বিভাজন দুদেশকে আলগে ধরে রেখেছে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন:

রেটিং ও কমেন্টস জন্য

নতুন প্রকাশিত

হোম
শ্রেণী
লিখুন
প্রোফাইল