চিমনি

অমিত মিত্র
0 রেটিং
1374 পাঠক
রেটিং দিন
[মোট : 0 , গড়ে : 0]

পাঠকদের পছন্দ

আচ্ছা মানুষের মনে তো কত রকমের অদ্ভুত ইচ্ছে জাগে, কখনো মনে হয় যদি রান্না ঘরের চিমনি টার মধ্যে ঢুকে দেখা যেত কি আছে? বিষয়টা একদমই সম্ভব নয় জানি। তবে কথা দিচ্ছি অন্য এক চিমনীতে আপনাদের ঘুরিয়ে আনবো।কার্শিয়াং থেকে মাত্র 8 কিলোমিটার দূরে ছোট্ট একটা গ্রাম চিমনি। শোনা যায় 1839 থেকে 1842 সাল নাগাদ এখানে রাস্তা তৈরি হওয়ার সময় ব্রিটিশ বাংলো তৈরি হয়েছিল। ব্রিটিশ বাংলো থাকলে চিমনি তো থাকবেই। এখন ব্রিটিশ বাংলো টা আর নেই ঠিকই, কিন্তু ভগ্নপ্রায় চিমনি টা রয়ে গেছে। আর তাই গ্রামের নাম হয়ে গেছে চিমনি।দু দিনের জন্য ছুটি কাটাতে আপনি চলে আসতেই পারেন এই চিমনি তে।থাকার জন্য খুব একটা হোমস্টে এখানে পাবেন না। তবে মেঘমালা হোমস্টে থাকার জন্য একদম আদর্শ। যোগাযোগ 9547 99 1991। পুরো পায়ে হেঁটে গ্রামটিতে ঘুরতে দারুন লাগবে।

দু মিনিট পর পরই দেখবেন মেঘ আপনাকে ভিজিয়ে দিয়ে গেছে কুয়াশা বলে ভুল করবেন নাযেন।হাঁটতে হাঁটতে যখন আপনি প্রায় হারিয়ে যাবেন তখন গ্রামের মানুষদের মুখে শুনবেন “আর যাবেন না স্যার সামনেই চিতাবাঘ”। ব্যস অমনি ব্যাক টু হোম স্টে।দুপুরে জমিয়ে ভাত ডাল ডিমের কারি দিয়ে পেট পুজো করে আবার বেরিয়ে পড়ুন হাঁটতে।ভাগ্য ভালো থাকলে কিছুটা হেঁটে আপনার কাঞ্চনজঙ্ঘার সাথেও  দেখা হয়ে যেতে পারে। বিকেল বেলা তেই দেখবেন হোম স্টের সামনে ছোট ছোট বাচ্চারা ফুটবল নিয়ে মেতে উঠেছে। আপনিও ওদের সাথে শামিল হয়ে যান। বয়স হয়ে গেছে বলে লজ্জা পাবেন না। যদি আপনার মনটা আরো উরু উরু করে তবে গাড়ি করে ডাওহিল ঘুরে আসতে পারেন মাত্র 5 কিলোমিটার।আবার জঙ্গলের পথে ডাওহিল দু কিলোমিটার দূরত্বে ঘুরে আসতে পারেন।

দার্জিলিংও এখান থেকে খুব কাছে মাত্র এক ঘন্টার পথ। তবে আমি বলব শুধু এখানেই থেকে এখানের সব রূপ রস শুষে নিন। ঘন পাইন এর জঙ্গলে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিন। দূর দুরান্ত পাহাড় গুলোর সাথে দুদিনের বন্ধুত্বটা জমিয়ে  উপভোগ করুন। গ্রামের ছোট্ট সাজানো বাড়ি গুলিতে যদি আপনার পুরোপুরি থেকে যেতে মন চায় তবে আমায় দোষ দেবেন না কিন্তু। তাই রান্না ঘরের চিমনিতে ঢুকতে না পারলেও অনায়াসে এই চিমনি থেকে ঘুরে আসতে পারেন।


আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন:

রেটিং ও কমেন্টস জন্য

নতুন প্রকাশিত

হোম
শ্রেণী
লিখুন
প্রোফাইল