স্বাধীনতা আমি দেখেছি আমার দু’চোখ দিয়ে,
অঙ্ক কষেছি খাতার পাতায় গরমিলে মিলাইয়ে।
সুদূর থেকে দেখেছি স্বাধীনতা লালকেল্লার চূড়ে
জনদরদী সম্মোহিনী ভাষণ গণকল্যানে উড়ে।
হাজার শহীদের রক্তরাগে অর্জিত স্বাধীনতা
কেমন করে দলদাসরূপে দংশে স্বাধীনচেতা।
আমি দেখেছি শহীদমীনার বাঁকা হাসি দিয়ে
সাবধান করে জনচিত্তে স্বাধীন সত্তা দেখিয়ে।
বুঝি সব; আবার বুঝিনা কিছুই,অবুঝ হয়ে থাকি
স্বাধীনতা যে শৃঙ্খলিত; পরেছি দলতন্ত্র রাখী।
গরীব আরো হচ্ছে গরীব, ধনীদের কলরোলে
চাপা পড়ে যায় কন্ঠ তাদের খোলের হরিবোলে।
স্তাবকদল পেটমোটা করে দেখায় বাহাদুরি,
ইঁদুর দৌড়ে কে কোথায় পড়ে,করে কে কত চুরি।
পাঁচ বছরের সময়সীমা নয় তো কিছু কম
ভোটটুকুই স্বাধীনমাত্র, তবু সে এখন যম।
ভোট দিতে গিয়ে ফিরে আসি; হয়ে গেছে ইতিপূর্বে,
দিতে না গেলে কেউ বা এসে বোমা ইট পাথর ছুঁড়বে।
ভোটের খরচ দাদন রূপে দিতে হয় জনে জনে
স্বাধীনতার উলঙ্গ রূপ দেখে পড়ে যায় মনে,
গা সওয়া সব হয়েছে এখন, ভয করি নাক’ আর
বুকটা কেবল খচখচ করে, প্রাণ বুঝি গেল এবার।
রক্ষক যারা ভক্ষক তারা সাধারণ হয় শিকার,
চাঁদার অঙ্ক ভাগাভাগি করে, নেই মনোবিকার।
তবু গর্বে বুক ফুলে উঠে তেরঙা ঝাণ্ডা দেখে,
কবিমন কত শব্দ ছড়ায় , গল্প কাব্য লেখে।
————————————————————
জয় হিন্দ। বন্দে মাতরম।
সুন্দর