দূর্গা

অর্পণ (শঙ্খচিল) ভট্টাচার্য্য
0 রেটিং
757 পাঠক
রেটিং দিন
[মোট : 0 , গড়ে : 0]

পাঠকদের পছন্দ

দূর্গা হতে দেবে না তোমায়!

কালীইবা হতে পারলে কই?

তারা বলবে লক্ষী হতে,

এটাই নাকি বেশি মানানসই!

মেয়ের আবার প্রতিবাদ কি?

সব সয়ে যেতে হয় মুখ বুজে।

যা তা ঘটুক নিজের সাথে,

কি হবে তার কারন খুঁজে।

মেয়ের আবার অধিকার কি?

তার আবার কিসের দাবি?

কোন কালে কি ছিলো কিছু?

আনমনে তা তবুও ভাবি?

মেয়ের আবার জীবন কি?

জীবন শুধু পুরুষের হয়।

পুরুষের মতো বাঁচতে চাওয়া

মেয়ে তোমার কর্ম নয়।

মেয়ের আবার কষ্ট কি?

কেন দুঃখ স্পষ্ট হয়!

চাহিদামত সুখ না পেলে

পুরুষের শুধু কষ্ট হয়।

দূর্গা,কালী মন্ডপে ভালো

ঘরে তা সাজার কি প্রয়োজন?

নারীর শক্তির বাহার জানা

মেয়ে বাদ দাও,তা বৃদ্ধির এই আয়োজন।

নারীকে নিয়ে এমনই ভেবে

জানিনা কিভাবে ভোল পাল্টায়!

নারীশক্তির আরাধনায় এরাই আবার

বুঝিনা কি করে শান্তি পায়!

মাটির প্রতিমার কদর এত এদের,

রক্ত মাংসের প্রতিমার খবর নেই।

লুটিয়ে পড়ে যে মাটির মায়ের পায়ে,

প্রয়োজনে নিজের পায়ে লুটায় আবার

রক্ত মাংসের কোন মাকেই।

মায়েতে মায়েতে এত প্রভেদ যেখানে,

এত যেখানে অনাচার!

মনুষ্যত্বই যেখানে পূজো জাগাতে পারলো না প্রাণে

পূজোর নাম সেখানে শুধু লোক দেখানো লোকাচার!

প্রতিবছর তবু সেখানেও মা আসেন।

মহাসমারোহে হয় শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রদর্শন।

আড়ালে রয়ে যায় সেসব বাড়ির

কোন সদ্য মায়ের আবাহনেই বিসর্জন।

এরা মারবে, তুমি মরবে

মুখ বুজে যদি পড়ে রও!

উঠো মেয়ে ঘুরে দাড়াও

নিজেই এদের জীবনে দূর্গা হও।

©️শঙ্খচিল

চিত্র সৌজন্য : গুগল

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন:

রেটিং ও কমেন্টস জন্য

নতুন প্রকাশিত

হোম
শ্রেণী
লিখুন
প্রোফাইল