জঙ্গল_ডায়েরিজ(৩)

অশোক ভট্টাচার্য
0 রেটিং
1650 পাঠক
রেটিং দিন
[মোট : 0 , গড়ে : 0]

পাঠকদের পছন্দ


বিগত পর্বের লিংক : 1.
https://www.saabdik.com/jungle-diaries-1/

বিগত পর্বের লিংক : 2.

https://www.saabdik.com/jungle-diaries-2/

অবশেষে বিচ্ছিন্ন। মোবাইলের কোনো নেটওয়ার্ক নেই। একমাত্র BSNL ছাড়া। কিন্তু আমাদের কারো BSNL নেই। মারোমার ফরেস্ট বাংলো।
আমরা চারজন ছাড়া আর কেউ নেই।  ড্রাইভার, চৌকিদার কাম রাধুনি। আর কেউ নেই। 
চারমূর্তি একসাথে। অনেকটাই আয়নার সামনা সামনি।  কুড়ি বছর আগের সব ছবি সামনে চলে আসছে। ফ্ল্যাশ ব্যাক। 


ক্যামেরা প্যান করছে। হঠাৎ মারিক গান চালালো…দিল হ্যায় কি মানতা নেহি…
জনতা না থাকলে নাকি নির্জনতা উপভোগ করা যায় না। কিন্তু জনতা কে কি সব সময় কি মূর্ত অবয়বেই থাকতে হবে?
 টপটপ করে পাতা পড়ার আওয়াজ, শুক্লা তৃতীয়ার পরকীয়া চাঁদ মুখের মিছিলগুলো সামনে এনে দিল। 
তর্ক তুলকালাম। রাজনীতি থেকে পরকীয়া টপিকের শেষ নেই। রাজীবের স্পষ্ট অভিযোগ আমি বড় অসহিষ্ণু। কারো কথা শুনতে চাই না, টক শো তে বসে বসে আমার নাকি এমন বদরোগ হয়েছে বলে মারিকের নিদান। 
“নিজের মুদ্রা দোষে নিজে একা হতেছি আলাদা…?”
হঠাৎ করে মারোমার জঙ্গলে সারি সজনে গাছ; আর তার গায়ে গায়ে লাল সবুজ নীল হলুদ রং বেরঙের আঠা। এই আঠা দিয়ে ছেঁড়া ঘুড়ি জুড়তাম। কাটা ঘুড়ির পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে কত স্টেশনে হল্ট করেছি, আজ মারোমারে।
চৌকিদারের BSNL এর ফোন থেকে জরুরি দু একটা ফোন সারলাম। চৌকিদারকে বললাম, BSNL তো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, শুনেছ? সে হেসে বললে–জানতা হ্যাঁয়, হর জাগা জিও আয়েগি।
জিও জিও। এখনো প্রাণ আছে বলে চেঁচাতে ইচ্ছে করলো। 


চার মূর্তি র কথোপকথন। আমি কথোপকথন বলি না। বলি শব্দ জব্দ খেলা। একটু ট্যাকেল, একটু ক্যামাফ্লেজ, একটু হিপোক্রেসি ; আমিও তার সমান অংশীদার। 
অনেক চেষ্টা করছি রং বেরঙের সজনে আঠা দিয়ে ঘুড়ি জুড়তে। দ্যাখা যাক।
ট্রি হাউসের বাথরুমের আয়নায় ভুত দেখার মতো চমকে উঠলাম। উল্টো দিকে দুচোখে স্বপ্ন নীল চোখ নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে ‘ভুবনডাঙার নবীন কিশোর ‘; আমার দিকে তাকিয়ে বলছে…”তুমি এক ভূতপূর্ব মানুষ “

অশোক_ভট্টাচার্য_রাজা/১৬.১০.২০১৯ ভোর ৫ টা ৩০ মিনিট

চিত্র সৌজন্য : গুগল

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন:

রেটিং ও কমেন্টস জন্য

নতুন প্রকাশিত

হোম
শ্রেণী
লিখুন
প্রোফাইল