আধুনিক শিক্ষার ভগীরথ, প্রনমী তোমায়। চমকে উঠলেন প্রসন্নকুমার ঠাকুর, সমাধি দিতে দেবে না? রামতনু লাহিড়ী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, হ্যাঁ এটাই তাঁর প্রাপ্য ছিল। ইউরোপীয় হয়ে নেটিভদের প্রতি অতো দরদ কিসের? ব্রাহ্ম সভায় গিয়ে বসে থাকা, হিন্দু সমাজকে ক্রিশ্চান করার পথে না এনে শিক্ষিত করা, চার্চে না গিয়ে কলেজ বানানো ,ধর্মে বিশ্বাস না রেখে নেটিভ শিক্ষার জন্য সর্বস্ব ব্যয় করা, এতো অন্যায় কেন মানবে মিশনারিরা? তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁদের গোরস্থানে হেয়ার সাহেবের জায়গা নেই।ব্যঙ্গ করে ওর কলেজের প্রাঙ্গনে ওকে সমাহিত করার নিদান দিয়েছেন তাঁরা। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, তাই হবে, হিন্দু কলেজের সামনেই সমাহিত থাকবে তাঁর কফিন। কিন্তু রক্ষনশীল হিন্দু সমাজ প্রবল আপত্তি করেছে। কিছুতেই এক ম্লেচ্ছর সমাধি শহরের মাঝখানে রাখতে দেবে না তারা। ইয়াংবেঙ্গলের সদস্য, ব্রাহ্ম দলের অনেক সদস্যের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো। বাইরে প্রবল বৃষ্টিপাত, বজ্রবিদ্যুতের আলো ঝলকে এসে পড়ছে শায়িত বৃদ্ধের মুখে। রামতনু লাহিড়ী তার শান্ত মুখের দিকে তাকিয়ে ডুকরে উঠলেন, মনে মনে ভাবলেন ভারত আজ হারালো এক অমুল্য সম্পদ। ডেভিড হেয়ার যে কি করে গেছেন এই জাতির জন্য, একদিন জাতি বুঝবে তা। আফসোস, আজ তাঁর জায়গা হচ্ছে না শহরের বুকে।
এমন সময় দুর্যোগ মাথায় করে বাইরে এসে দাঁড়াল এক জুরি গাড়ি। বাইরের ভিড়ের মধ্যে একটু আলোড়ন হল, সবাই ফাঁকা করে দিল পথ। প্রবেশ করলেন রাজা রাধাকান্ত দেব। রক্ষনশীল সমাজের মাথা। সব শুনে বললেন ওই গোলদিঘির পাড়েই হবে তাঁর সমাধি। আমি বলছি, রাজা রাধাকান্ত দেব।দেখি কে আটকায়? কোন সমাজ বাধা দেয়? রামতনু লাহিড়ী ঠিক পছন্দ করতেন না এই রাজাকে। আজ এগিয়ে এলেন। ধন্যবাদ মহাশয়, বড়ই অসহায় মনে হচ্ছিল আজ। এমন একজন ব্যক্তি এইটুকু সম্মান পাবেন না? ভেবেই চোখে জল আসছিল। সবাইকে চমকে দিয়ে রাধাকান্ত দেবও চোখ মুছলেন সকলের সামনে। এমন দোর্দণ্ড প্রতাপ ব্যক্তির চোখে জল! তাঁকেও সিক্ত করেছে হেয়ার সাহেবের অবদান।
একে একে আসছেন শিবনাথ শাস্ত্রী, কৃষ্ণমোহন ব্যানার্জি, প্যারীচাঁদ মিত্র সহ কলকাতার নামী দামী ব্যক্তিরা। সবার চোখে জল, বাইরে থিক থিক করছে অগনিত মানুষ। প্রবল বারিধারায় দুর্যোগে নীরবে ভিজছেন তারা। তবুও অধীর অবিচল হেয়ার সাহেবের শেষ যাত্রায় অংশ নেবার জন্য।হিন্দু কলেজের ছাত্ররা হাউ হাউ করে কাঁদছে স্বজন হারানোর ব্যাথায়। বারান্দার একধারে এসে দাঁড়ালেন প্রসন্নকুমার ঠাকুর। প্যারীচাঁদের সাথে আলোচনা করছেন পুরনো দিন গুলি। বললেন আমরা পাথুরিয়াঘাটার ঠাকুর পরিবার। বেশ নাম ডাক তখন। আমার পিতা গোপীমোহন ঠাকুর যাবেন বড়োলাট মিন্টোর সাথে দেখা করতে। মিন্টো সাহেবের আবার খুব ঘড়ির শখ। পিতা ঠিক করলেন ঘড়ি দেবেন। কোথায় পাওয়া যাবে উপযুক্ত ঘড়ি? এক বন্ধু বললেন, চলে যান হেয়ার সাহেবের দোকানে। দেখে আসুন স্কটল্যান্ড থেকে এসে কি ব্যবসা ফেঁদেছেন। বিশ্বের নামী দামী ঘড়ি তাঁর কাছে আছে। ব্যবসা করে কলকাতায় বিশাল বাড়ি করেছেন, প্রভূত ভুসম্পত্তি ক্রয় করেছেন। পিতা গেলেন তাঁর কাছে।বহুমুল্য একটি সোনার ঘড়ি কিনলেন। কেনার পর হেয়ার সাহেব হঠাৎ বললেন গোপীবাবু একটু কথা আছে। পিতা বললেন, বলুন কি ব্যাপার? হেয়ার সাহেব বললেন, আপনারা বনেদী বংশ, অনেক প্রভাব আপনাদের। কিন্তু প্রদীপের নীচে এতো অন্ধকার কেন? আমি দেখি আর অবাক হই, এতো কুসংস্কার, দারিদ্র্য, অশিক্ষা নিয়ে জাতি বেঁচে আছে কিভাবে? কিছু মনে করবেন না মহাশয়, আপনাদের অবশ্যই এগিয়ে আসা দরকার। আপনারাই বাঁচাবেন জাতিকে। আমি সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করবো, কিন্তু আপনাদের পাশে চাই। এই কুপ্রথা, হীনমন্যতা, জাতিভেদ দূর করতে চাই পাশ্চাত্যের আধুনিক শিক্ষা।আপনি আমায় সাহায্য করুন। হেয়ার সাহেব হাত দুটি ধরে ফেলেন পিতার।পিতাকে খুব নাড়া দেয় এই ঘটনা। একজন ইউরোপীয় হয়ে ভারতবাসীর জন্য এতো ভাবনা। সাহায্য করতেই হবে মানুষটিকে।
পরদিন থেকে শুরু হল নতুন অধ্যায়। কর্মচারীদের হাতে ব্যবসা ছেড়ে গোপীমোহন বাবুর সাথে শহরের বিভিন্ন বনেদী বাড়িতে যেতে শুরু করলেন হেয়ার সাহেব। আগেই তিনি আরও কিছু ব্যক্তির সাথে কথা বলেছিলেন।তাদের মধ্যে উৎসাহীরা সাহায্য করলো সকলের মধ্যে আধুনিক শিক্ষার প্রচারে। প্রথম ধাক্কা এলো বড়লাটের কাছ থেকে, তিনি কোনোরকম সরকারী সাহায্য দেবার পক্ষপাতী নন।ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বোর্ড অফ কন্ট্রোল আগ্রহী নন। তবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হাইড ইস্ট খুব আগ্রহী হলেন। একদিন যাওয়া হল শোভাবাজার রাজবাড়িতে। রাধাকান্ত দেব খুব উৎসাহ দেখালেন। বললেন গড়ে তুলুন হিন্দুদের জন্য কলেজ,স্কুল। তবে মিশনারীরা যেন প্রবেশ না করে দেখবেন।তাঁর সূত্রেই যাওয়া হল বর্ধমান রাজ তেজচাঁদ বাহাদুরের কাছে। রামমোহন রায় এগিয়ে এলেন। সমস্ত নামী দামী ব্যক্তিত্বের মধ্যে যোগসূত্র এক শ্বেতাঙ্গ, হেয়ার সাহেব। কলকাতার গরমে মুখ লাল হয়ে যায়, আরামের জীবন ছেড়ে রাস্তায় ঘোরাঘুরির অভ্যাস নেই, তাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু তিনি অদম্য। তৈরি হোল ফান্ড। বিচারপতি হাইড ইস্ট হলেন চেয়ারম্যান। দেওয়ান বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে অর্থ সংগ্রহ শুরু হোল। শিক্ষিত সমাজ হেয়ার সাহেবের আবেদনে সাড়া দিলো। ১,১৩,১৭৯ টাকা সংগ্রহ হল। বর্ধমানের মহারাজা তেজচাঁদ বাহাদুর ও গোপীমোহন ঠাকুর উভয়েই কমিটিকে ১০,০০০ টাকা প্রদান করেন। হেয়ার সাহেব তাঁর সম্পত্তির বেশ কিছুটা বিক্রয় করে দিলেন।
১৮১৬ সালের ২১ শে মে। গোলদিঘির পাড়ে সেদিন সাজসাজ রব। উদ্বোধন হচ্ছে হিন্দুকলেজ ও হিন্দু স্কুল।কলকাতার নামী দামী বাবুদের জুড়ি গাড়ি,ধুতির কোঁচা, হইচই। প্রশাসনিক কাজকর্ম শুরু হল।এসেছেন বড় বড় সমস্ত অভিজাত। রাধাকান্ত দেব, গোপীমোহন ঠাকুর, বর্ধমান রাজ, হাইড ইস্ট প্রমুখ ব্যক্তির মধ্যে মধ্যমনি হেয়ার সাহেব। তিনি পরিকল্পনা করছেন আরও অনেক বিদ্যালয় গড়তে হবে, গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে দিতে হবে পাশ্চাত্য শিক্ষা। স্কু;ল প্রতিষ্ঠার জন্য চাই একটি কমিটি।এরপর ১৮১৭ সালের ২০ জানুয়ারি একসাথে ক্লাস শুরু হল হিন্দু স্কুল ও হিন্দু কলেজের। ওই বছরই হেয়ার প্রতিষ্ঠা করলেন বাংলা বিদ্যালয়, কয়েক বছর পর পটলডাঙা অ্যাকাডেমি। পরে দুটি প্রতিষ্ঠান একসাথে হোল হেয়ার স্কুল। স্কুল কলেজের ছাত্র বাড়তে লাগলো। কিন্তু বই কোথায় এতো। তিনি তৈরি করলেন স্কুল বুক সোসাইটি। অত্যন্ত স্বল্প মূল্যে বই ছাপিয়ে ছাত্রদের দেওয়া হতে লাগলো। নতুন নতুন বিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হোল ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটি। হেয়ার সাহেব অক্লান্ত অদম্য। অতো সাধের ঘড়ির ব্যবসা বিক্রি করে দিলেন। চাই আরও অর্থ। ঋণ করতে শুরু করলেন। এদিকে হিন্দু কলেজ আর পাশেই সংস্কৃত কলেজের ছাত্র সংখ্যা বাড়ছে। এই উৎসাহ,এই শিক্ষার আগ্রহ দেখে মন ভরে যায় তাঁর।কিন্তু ছাত্র বাড়ার সাথে সাথে আরো বিল্ডিং প্রয়োজন। নিজের বিশাল সম্পত্তি দান করে দিলেন দুই কলেজকে। নিজের অট্টালিকা দিলেন বেচে। উঠলেন গিয়ে গ্রে সাহেবের ছোট্ট দু কামরার ঘরে। যেন এক সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী।মাঝে মাঝে সময় পেলেই চলে আসেন হিন্দু কলেজে। ঘরে ঘরে ঘুরে দেখেন পঠন পাঠন, শিক্ষকদের পাঠদান, ছাত্রদের আচরন।ছুঁয়ে দেখেন কলেজের থাম দালান দরজা।স্বপ্নকে সত্যি করার অনুভুতি প্রকাশ পায় তাঁর চোখে মুুখে।
এরপর শুধুই কাজ কাজ আর কাজ। নতুন স্কুল তৈরির পরিকল্পনা, মেয়েদের নিয়ে অবৈতনিক স্কুল, বই ছাপানোর কাজ। সঞ্চয় সব শেষ, ঋণ করতে হল, তবুও তিনি দমলেন না। চারদিকে দেখেন এতো রোগ। কলেরা, কালাজ্বর, অপুষ্টিতে জর্জরিত দেশ। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। সব সেই গাছগাছড়া আর জলপড়া। ইউরোপ চিকিৎসায় কতোটা এগিয়েছে, শল্য চিকিৎসায় অভাবনীয় উন্নতি করেছে, ধারনা নেই এদের।এদেশকে বাঁচাতে আধুনিক মেডিকেল কলেজ বানাতে হবে। নতুন করে সক্রিয় হলেন তিনি। রামমোহন রায়ের সাথে কথা হল, ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যদের বোঝালেন। বিরাট কাজ, সবাইকে পাশে চাই। সরকারের সাথে আলোচনা শুরু করলেন। তিনি আজ প্রায় নিঃস্ব। সরকার অর্থ বরাদ্দ করুক, সমস্ত দায়িত্ব তিনি নেবেন। সরকার অনুমতি দিল। ১৮৩৫ সালে মুলত হেয়ার সাহেবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শুরু হল বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের পথ চলা।এশিয়ার দ্বিতীয় মেডিকেল কলেজ। ব্রামলি, গুডিভ হলেন শিক্ষক। বাংলার থেকে শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হলেন মধুসূদন গুপ্ত। আজ এই শেষ যাত্রায় অংশ নিতে তিনিও এসেছেন।
ভিতরে শেষ যাত্রার আয়োজন হচ্ছে। সবাই শ্রদ্ধা জানিয়ে যাচ্ছেন ফুলে মালায় চোখের জলে। মধুসূদন গুপ্ত বলতে শুরু করলেন। মানুষটার উদ্যম দেখেছি একেবারে কাছ থেকে।তিনি ছিলেন মেডিকেল কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য।স্থির হল মেডিকেল কলেজের সাথে একটি হাসপাতাল করা খুব দরকার। প্র্যাকটিকাল ক্লাস করতে হবে। সরকার অর্থ দেবে, কিন্তু মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন অঞ্চলে অতোটা জমি দেবে কে? একটা বিরাট জমি আছে মতিলাল শীলের।হেয়ার সাহেব ব্রামলি সাহেবকে নিয়ে ছুটলেন তাঁর কাছে।বোঝালেন আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যার গুরুত্ব। দীর্ঘ আলোচনা করে যখন বেরলেন, মতিলাল বাবু দানপত্রের জন্য উকিলকে খবর পাঠিয়েছেন। মতিলাল বাবুর জমিতে গড়ে উঠলো ইউরোপীয় পদ্ধতিতে চিকিৎসার প্রতিষ্ঠান, ক্যালকাটা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল।
এসেছিলেন ডাক্তার রাজকৃষ্ণ দে, দ্বারিকানাথ গুপ্ত। তারা বললেন,স্যার, আপনি সেই আন্যাটমির সূচনার কথা ভাবুন।শব ব্যবচ্ছেদ করে ইতিহাস রচনা করতে চলেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ।চারদিক সরগরম। আপনি সেই কাজ করবেন, আপনার সহকারী আমরা। কিন্তু রক্ষনশীল সমাজ প্রবল বাধা দিলো। আমাদের বাড়িতে হুমকি, বিক্ষোভ। ময়দানে নামলেন হেয়ার সাহেব। শিক্ষিত সমাজকে, ব্রাহ্ম দলকে ডেকে বোঝালেন এর প্রয়োজনীয়তা। এই শব ব্যবচ্ছেদ ছাড়া চিকিৎসাশিক্ষা অসম্পূর্ণ। পালটা মিছিল করালেন এর সমর্থনে। ব্যবচ্ছেদের দিন নিজে উপস্থিত ছিলেন উৎসাহ দিতে। ইতিহাসের পাতায় নাম উঠেছিল আমাদের।ডাক্তার প্রসন্নকুমার মিত্র বললেন, অথচ শেষ সময় আধুনিক চিকিৎসার সুযোগটা নিলেন না। কলেরার লক্ষন দেখেই ব্লিস্টার দিতে চেয়েছিলাম আমি। উনি বারবার বলছিলেন, আমায় শান্তিতে যেতে দাও। গ্রে সাহেবকে বলছিলেন কফিনের ব্যবস্থা কর। নীরবে চলে গেলেন তিনি।
১৮৪২ সালের ১ জুন। বিদায় নিয়েছিলেন ডেভিড হেয়ার। সেদিন অবিশ্রান্ত বর্ষণে প্লাবিত হয়েছিল কলকাতা। আর রাস্তায় ছিল জনপ্লাবন। একজন ইউরোপীয়র শেষ যাত্রায় এতো মানুষের সমাগম ছিল অভাবনীয়।হবে নাই বা কেন? যার হাত ধরে বাংলা তথা ভারতের আধুনিক শিক্ষার সুচনা হয়েছিল। হিন্দু স্কুল, হেয়ার স্কুল, হিন্দু কলেজ, ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটি, ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি, ক্যালকাটা মেডিকেল কলেজের মত প্রতিষ্ঠান প্রান পেয়েছিলো যার স্পর্শে, তার বিদায়ে কি করে ঘরে থাকে বাঙালি? তাই বিদায়যাত্রায় ছিল মানুষের ঢল। সাধের হিন্দু কলেজের উল্টোদিকে কলেজ স্কোয়ারের মধ্যে রয়েছে তাঁর সমাধি। আমরা ঠাকুর দেখতে যাই, কিন্তু দেখা হয় না সেই মহান মানুষটির সমাধি। তিনি ভারতীয় না হয়েও ছিলেন অনেকের থেকে বেশী ভারতীয়, শিক্ষক না হয়েও ছিলেন অনেকের থেকে বড় শিক্ষক।
আজ ৫ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস। প্রনাম জানাই সেই মহান মানুষটিকে। যিনি দেশ কালের সীমা অতিক্রম করে জড়িয়ে রয়েছেন বাংলার আধুনিক শিক্ষায়। প্রনাম ডেভিড হেয়ার সাহেব। এক আন্তর্জাতিক শিক্ষক।
তথ্য… গুগুল, উইকিপিডিয়া
পার্থ চক্রবর্তী