শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু — গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের প্রাণপুরুষ, ভক্তি আন্দোলনের অগ্রদূত। তিনি কৃষ্ণভক্তি ও হরিনামের প্রচারে জীবনের শেষ ১৮টি বছর কাটিয়েছিলেন পুরীধামে। আর পুরীর শ্রীজগন্নাথ মন্দির ছিল তাঁর পরম প্রিয় স্থান, যেখানে প্রতিদিন তিনি দর্শনে যেতেন, কীর্তনে মগ্ন থাকতেন।
তবে আজও বহু মানুষ একটি প্রশ্ন করে থাকেন — “শোনা যায়, তাঁকে নাকি পুরীর মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হতো না!”
চৈতন্যদেব জন্মসূত্রে একজন বৈদিক ব্রাহ্মণ। পুরীর মন্দিরে প্রবেশের কড়া নিয়ম থাকলেও, ব্রাহ্মণদের সেখানে ঢুকতে বাধা ছিল না। বরং তিনি নিজেই জগন্নাথদেবের দর্শনে প্রতিদিন মন্দিরে যেতেন, গভীর ভক্তিতে স্তবপাঠ করতেন, নৃত্য করতেন।
তাঁর রথযাত্রার অংশগ্রহণ এতটাই বিখ্যাত যে, কীর্তনের তালে রথ টেনে নেওয়ার ঐতিহ্য আজও চলছে।
১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দে, ৪৮ বছর বয়সে, চৈতন্যদেব গম্ভীরার ঘরে তপস্যা করতে গিয়ে হঠাৎ অন্তর্ধান হন। এরপর তাঁকে আর কখনো দেখা যায়নি।
এই রহস্যময় অন্তর্ধানই জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্ন ও তত্ত্বের।
ভক্তদের চোখে, এটি কোনো মৃত্যু নয় — এটি ছিল লীলাসমাপ্তি। যেমন কৃষ্ণ বা রামচন্দ্র দেহ ত্যাগ করেছিলেন তাঁদের ইচ্ছায়, তেমনি চৈতন্যদেবও এই পৃথিবীতে তাঁর ভূমিকা শেষ করে ব্রহ্মলীনে লীন হয়েছেন।
প্রশ্ন | উত্তর |
---|---|
তাঁকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হতো না? | ❌ ভুল |
তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল? | ❓ অনিশ্চিত, প্রমাণহীন |
তিনি হঠাৎ অন্তর্ধান হন? | ✅ হ্যাঁ |
রথযাত্রায় অংশ নিতেন? | ✅ উল্লাসভরে অংশ নিতেন |
শ্রীচৈতন্যদেব শুধুই একজন সাধক ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক বৈপ্লবিক আধ্যাত্মিক আন্দোলনের জন্মদাতা। তাঁর অন্তর্ধান যেমন রহস্যময়, তেমনই তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় এক অসীম ভক্তির গাথা।
👉 আপনি কি কখনো পুরীর রথযাত্রা দেখেছেন? অথবা শ্রীচৈতন্যদেবের দর্শনের কোনো বিশেষ অনুভব রয়েছে? নিচে মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না!