বাড়িতে ব্যাটারি লাগবে। ব্যাটারি আনতে যাচ্ছি দোকানে৷ হঠাৎ মনে হল, আচ্ছা পুরানো দিনের লোকেরা কখনো চেষ্টা করেনি ব্যাটারি বানানোর কিম্বা বিদ্যুৎকে খামচে ধরার। ২২০০ বছর আগে সেই সুদূর বাঘদাদে কেউ কেউ সে চেষ্টা করেছিল। অর্থাৎ যীশুর জন্মেরও ২০০ বছর আগেকার ঘটনা। ১৯৩৮ সালে জার্মান আর্কিওলজিস্ট উইলহেম কনিগের লেখায় প্রথম এর কথা জানা যায়। আসলে যন্ত্রটি একটি ৫ ১/২ ইঞ্চি লম্বা ও ৩ ইঞ্চি চওড়া মাটির পাত্র।
মাটির পাত্রটির মুখ অ্যাসফল্ট দিয়ে বন্ধ করা ছিল।একটি তামার মোটা নল অ্যাসফল্টের ঢাকনা থেকে সোজা নেমে আসত পাত্রের নীচে তামার চাকতি অবধি। তামার নলের মাঝে থাকত লোহার দন্ড। যদিও লোহার দন্ড ও তামার নল কেউ কাউকে স্পর্শ করেনি৷ পাত্রটি ভিনিগার,লেবুর রস বা গেঁজানো আঙুরের রসে পূর্ণ থাকত। আশ্চর্যের বিষয় হল,গ্যালভানি বহু যুগ পরে এক ই পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলেন। তবে মাত্র ১.৫-২ ভোল্ট এর বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা বাঘদাদি ব্যাটারির ছিল না। কি কাজে এটি ব্যবহৃত হত, তা জানা যায় না। কেউ কেউ মনে করেন যে সামান্য পরিমাণ বিদ্যুৎ চিকিৎসার কাজে লাগত। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, এই ব্যাটারি পরপর জুড়ে দিলে তড়িৎ লেপনের কাজ করা যেতে পারে৷ আসল সত্যি সময়ের চাকায় হারিয়ে গেছে। খালি রয়ে গেছে বিস্ময় আর একগুচ্ছ অনুমান।
ছবি সৌজন্য: গুগল