ছোটবেলার গল্প বলতে বসলেই মনটা নরম এক কুচি মায়ায় ভরে যায় – প্রেমিকার দুস্টু চাহনির মতো মায়া – সন্তানের প্রথম স্পর্শের মতো,ঠাম্মার মুখে শোনা গল্পের মতো সব মায়ারা ভিড় করে আসে মনে।সবার ছোটবেলাতেই বোধহয় একইরকম কিছু ছবি থাকে।আশৈশব এর চেনা কিছু স্পর্শ,কিছু টক মিষ্টি চুরি করে খাওয়া আচারের স্বাদ,ফেলুদার বাড়ি যাবার তীব্র ইচ্ছে।। হঠাৎ একদিন প্রথম পরা শাড়ি কিংবা জীবন বিজ্ঞানের chapter আমাদের বড় করে দেয়।ছোটবেলা ক্রমে অতীত হতে থাকে শাড়ির কুঁচি তে।।
ফ্রক পরা বয়সের পাড়ায় মিষ্টির দোকানে সাজানো হাঁস-সন্দেশ – দুচোখে দুটো এলাচ দানা।চোখ খুবলে খেয়ে ফেলতেই বুড়ো হাঁস ডানা মেলে পগার পাড়।পগারে ভূত থাকে তাই ছোট দের যাওয়া মানা।সুতরাং হাতে থাকে নিষিদ্ধ উঁকি ঝুঁকি।।তারপর বয়স বাড়লে ভূতের কোলে সেঁধিয়ে পরে বর্তমান।।
ছোটবেলার কোনো ভূত ভবিষ্যত থাকে না।।তারা বর্তমানে বাঁচে।কাদামাখা নতুন জুতো,স্লেট পেন্সিল,জমানো টিকিট, পুতুলের বিনুনি,জটায়ুর সবুজ ambasaddor, এসব ই তখন খুব আপনার।।বাবার হাত ধরে স্কুল এ যাওয়া,হজমিগুলি,দুপুরের ভাত ঘুম এসব ছোটবেলার নিজস্ব সম্পদ।।দুপুরের মনখারাপ শুরু হলেই পাড়া থেকে উধাও হয় ছোটবেলা।।অথচ ছোটবেলার পাড়ার আর বয়স বাড়ে না।তার টুকরো ছবি জলছবি হয়ে গেঁথে যায় মনে।।কখনো আবছা কখনো তীব্র তার অনুভূতি।।ছোটবেলার বয়স বাড়ে না,বাড়লেও বুঝি তার জৌলুস কমে না একটুকুও।।বয়স বাড়ার সাথে সাথে উজ্জ্বল হয় সেইসব জলছবি।।সেইসব নস্টালজিয়া, মনখারাপ,মনভালো ইত্যাদি।।।।।।
ছোটোবেলা মনে করিয়ে দিলে।