উবারমেন্‌শ আসলে কোল্যাটারাল ড্যামেজ

অর্পণ (শঙ্খচিল) ভট্টাচার্য্য
5 রেটিং
945 পাঠক
রেটিং দিন
[মোট : 1 , গড়ে : 5]

পাঠকদের পছন্দ

Vinci Da = সাধারণ মানুষের যৌথ স্বপ্ন

#উবারমেন্‌শ কি পরিচালক মহাশয় নিজে নাকি তাঁর তৈরী চরিত্র আদি বোস..দ্বন্দ্ব চলছে আপাতত..দেখি আলোচনার শেষে নিষ্পত্তি হয় কিনা দ্বন্দ্বের..‘বিয়ন্ড ম্যান’ বা ‘সুপার ম্যান’,এই শব্দবন্ধই ছবির ভিত। ফ্রেডরিক নিটশের এই তত্ত্বের যুগে যুগে সরলীকরণ করা হলেও এই ছবির ক্ষেত্রে তা থেকে বিরত থেকেছেন পরিচালক। বোঝাতে চেয়েছেন, সাধারণ মানুষই পারে অবক্ষয় আটকাতে। উপরওয়ালা এক্ষেত্রে অক্ষম, মৃত। ভিঞ্চিদা’র সঙ্গে আলাপচারিতায় শব্দটির প্রয়োগ করে আদি বোস। অর্থা‌‌ৎ কোনও অতিমানব নয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করা অন্যায়কারীকে সাজা দেবে মানুষই।

প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টিস্ট ভিঞ্চিদা গল্পের কথক…তবে পরিচালক জানেন,তাঁর ইউএসপি ঠিক কোথায় বিরতি নেওয়ার ফ্রেমটাই ছক্কা হাঁকাবে..।মনে ধরবে ডিটেলিং, চরিত্রানুযায়ী ঋদ্ধির ঘরের পোস্টার, উত্তর কলকাতায় বাড়ি হলে ব্যাকগ্রাউন্ডে রাস্তার ফেরিওয়ালার গলা, রাতে টিকটিকির শব্দ,সবটাই।শেষ পর্যন্ত, টানটান উত্তেজনার বশে হাতের পপকর্নটা শেষ না হওয়ার সম্ভবনাই বেশি।

থ্রিলারেও প্রেমের বুনন থাকতে পারে,সেটা বিশ্বাসযোগ্যতার সাথেই চরম মুন্সিয়ানার পরিচয় পরিচালক রেখেছেন..ট্রেলারের শেষ দৃশ্যটা,ছবির প্রথম দৃশ্যায়ন…যেন শেষের শুরু..চমৎকার,দর্শক খুব সহজেই অনুপ্রাস খুঁজে পেতে পারেন..পরবর্তীতে ‘#কোল্যাটারাল_ড্যামেজ’ কথাটা বহু ক্ষেত্রে এই সিনেমার প্রাসঙ্গিক উপকরণ হয়ে দাঁড়ায়..আর ঠিক সেখানে গিয়েই উবারমেন্‌শ সত্বা রক্তাত্ব হয়,..যেখানে মানুষ নিজেকেই দেবতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে,সেখানে কি আস্ত শয়তান এ পরিগণিত হয়??প্রশ্ন মনে ণর দিয়ে ওঠে,,খুশি মনে শিল্পী স্বত্বা কে মেনে নিতে হবে নাকি অপরাধ কে স্বীকৃতি দিতে হবে এই দোলাচলতা বারংবার ক্ষতবিক্ষত করে তোলে ভিঞ্চিদা কে…ঠিক যেমন করে নিজেদের সমাজেও আমরা ঠিক করছি কি ভুল করছি সময় সময়ে সেই দোলাচলতা তে ভুগতে থাকি..

শিল্পী নির্বাচনে বরাবর সিদ্ধহস্ত পরিচালক যথাযথ পরিসরে,সঠিক চরিত্রায়নে পুলিশ অফিসার,তোতলা জয়া এবং ছোটবেলার আদি বোস কে তুলে ধরেছেন..ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের আবহসঙ্গীত, অনুপমের সঙ্গীত পরিচালনা ও নোবেলের কণ্ঠ, ছবির ডায়ালগ, ক্যামেরা, সবটাই বেশ ভালো..

এখানে রয়েছে সম্পর্কের পরিণতির খাপছাড়া বিশ্লেষণ,এখানে রয়েছে প্রেমের পাগলামি আবার একই সাথে কর্মের মাতলামি..না পাওয়া যন্ত্রণার নেতিবাচক আবার কোথাও গিয়ে সমষ্টির পক্ষে ইতিবাচক পরিণতি..সাধারণ মানুষের যৌথ স্বপ্নের হদিশ রয়েছে এই সিনেমাতে..
তাই সিনেমার গানের কথা দিয়েই অনিশ্চয়তার স্বপ্নিল এবং কে প্রশয় দিয়ে বলি-

“গ্যাস বেলুন সব উড়িয়ে দিলে
নীল সেলুন মুখ ঘুরিয়ে নিলে
কোথায় যাবো তুমি বলে দাও?”

©️শঙ্খচিল

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন:

রেটিং ও কমেন্টস জন্য

নতুন প্রকাশিত

হোম
শ্রেণী
লিখুন
প্রোফাইল