অভাগিনী দেশ

মামুন মোল্লা
5 রেটিং
1269 পাঠক
রেটিং দিন
[মোট : 1 , গড়ে : 5]

পাঠকদের পছন্দ

শত রাজাকারে খোঁজে ক্ষমতারে,

পেতে হবে মসনদ,

ধর্ম-বর্ম ফন্দি ফিকিরে,

সেই শেষে প্রজা বধ।

 

যত আছে টোপ ফেলে টপাটপ,

ভোট ছিপে মাছ ধরে,

ছলা কোলাহলে,আর ঘোলা জলে,

বিড়াল শিকার করে।

 

ধর্মের কল বাতাসেই নড়ে,

প্রজা সেই বাঁধা কলে,

এ পোড়া ভূমি যে দাউ দাউ জ্বলে,

হাসে রাজা ফুল গলে।

 

ওরা তো দেখেনি কত যে রজনী,

শীত বায়ূ এসে চূমে,

জীর্ণবসনে ভাঙা ঘরে লাশ,

আছে শুয়ে চির ঘুমে।

 

অভুক্ত পেট,–তাইতো চাষীটা,

ভাতের স্বপ্ন দেখে,

কীটনাশকের ফেনা হাসি হয়ে,

মুখে তার লেগে থাকে।

 

ডিগ্রী কাগজ কফিন মোড়ক,

ওরা সম্বলহীন,

অন্নের খোঁজে জঞ্জাল ঘাঁটে,

হাতে ঝাড়ু আর টিন।

 

ওরা যে রাজার ইমারত ইট,

ভোটের আঙুল ছাপ,

রাজারা ব্যস্ত আঁখের গোছাতে,

লাভের পাল্লা মাপ।

 

কভু গলাগলি,কভু দলাদলি,

গুঁতোগুঁতি ঠেলাঠেলি,

রাজপথে ওঠা পণ শুধু করে,

ভোলে মানুষের গলি।

 

কোটিকোটি টাকা পকেট মানি,

প্রজার তিমির ঠাঁই,

কাটা পকেটেই পড়ে থাকে লাশ,

রাজা করে খাই খাই।

 

প্রজার রক্ত ঘাম সেই চোষা,

সেই দাস-বাবুগিরি,

দাস হয়ে লাশ,ভরে চারি পাশ,

বাঁচা করে ঝাড়ুদারি।

 

কোটি কোটি গ্রাসে,চুষি চুষি খেলা

রাজ টিকা করে ছল,

চোরে আর চাঁড়ে,নেপো দই মারে,

লুঠে বলে,”চিঁড়ে জল “।

 

ঠকে ঠকে ঠক, ঘাতে ঠকাঠক,

শত কোটি বুক মাঝে,

“মসনদ চাই !” –লুঠেরার হাঁকে

কাঁদে অভাগিনী মা  যে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন:

রেটিং ও কমেন্টস জন্য

নতুন প্রকাশিত

হোম
শ্রেণী
লিখুন
প্রোফাইল