ঘরে ফেরার গান

প্রত্যূষ রায়
4 রেটিং
1219 পাঠক
রেটিং দিন
[মোট : 1 , গড়ে : 4]

পাঠকদের পছন্দ

পূজা? সে তো কতই হয়। কিন্তু দুগ্গি বড় ইস্পেশাল। দুগগির সাথে, মানে ঘরের মেয়ের সাথে প্রবাসী মন ঘরে ফেরে। পূজা যত কাছে আসে তত বাড়তে থাকে নস্টালজিয়া। সে নস্টালজিয়ায় নির্ভেজাল আড্ডা,খাওয়া-দাওয়া, হইচই আর বইয়ের দেশ।
 পূজাতে এখন ভোজপুরি আর চোস্ত পাঞ্জাবি গানের ঝিনচ্যাক নাচ। হারিয়ে যাচ্ছে ক্যাপ বন্দুকের অরণ্যদেব, বন্ধুত্বের আনমনা বিকেল, আরো কত কি! পূজা কি শেষ অবধি আইটেম হয়ে গেল? রোজকার মাছভাতে ক্লান্ত বাঙালির চারদিনের বিরিয়ানি? যেথায় বাঙালি হেলায় বলবে- মেজাজটাতো আসল রাজা,আমি রাজা নয়।
আগে আমাদের পাড়ায় একটা ভাঙা মন্দির ছিল, তাতে জৌলুশ ছিল না, ছিল আন্তরিকতা। সময় যত এগোল, সমস্কিতি যত মিশল – তত দিনগুলো পানসে হয়ে গেল। স্মৃতির মন্তাজে পানসি বেয়ে, “আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ” কথাগুলো নিজের কানে বড় ক্লিশে শোনায়।

তবু দিন যায়, আমি অপেক্ষায় থাকি। ছুটির, বাড়ি ফেরার-  মায়ের ওমে নিজেকে ছুঁয়ে রাখার – ভাইয়ের সাথে খুনসুটিপানার- আমি অপেক্ষায় থাকি। আমার মতন সকলে অপেক্ষায় থাকেন।
  মন্ত্রোচ্চারণে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ছড়িয়ে দেন শিউলির সৌরভ আর ঘরে ফেরার গানের সুর ধ্বনিত হয় আকাশে বাতাসে। পূজাতে মা আসেন না, আসে মেয়ে – তার সাথে নিয়ে আসে যত ফেরারি মন। গানের রিমেক হতে পারে, পূজা বিজ্ঞাপিত হতে পারে কিন্তু এই ডাক টা থেকে যাবে অমলিন হয়ে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন:

রেটিং ও কমেন্টস জন্য

নতুন প্রকাশিত

হোম
শ্রেণী
লিখুন
প্রোফাইল