দাওয়াইপানি

অমিত মিত্র
0 রেটিং
1535 পাঠক
রেটিং দিন
[মোট : 0 , গড়ে : 0]

পাঠকদের পছন্দ

যদি এমন একটা জায়গা থাকতো যে সেখানে গিয়ে জল খেলেই সমস্ত অসুখ এক নিমেষে হাওয়া হয়ে যেতো? কি ভালো টাই না হত বলুন। আরে মশাই সিনেমায় যদি জলে নেমে বয়স কমে যেতে পারে তবে এমনটাই বা হতে দোষ কোথায়?ভাবছেন গল্প দিচ্ছি?এমন জায়গা ও রয়েছে, শুনুন না একবার নামটা, দাওয়াইপানি। আপনার ঘরের একদম কাছে। দার্জিলিং তো মাঝে মাঝেই যান, একবার তার উল্টো দিকের পাহাড় দাওয়াইপানি থেকে ঘুরে আসুন না।দাওয়াইপানি নামটার উৎপত্তি ও বেশ মজাদার ঘটনা।শোনা যায় ব্রিটিশ শাসনের সময় কোন এক ব্রিটিশ পায়ের ঘা নিয়ে এখানে এলে এখানের কোন এক প্রস্রবনের জলে তার পায়ের ঘা সেরে যায়। তারপর থেকেই এখানের নাম হয়ে যায় দাওয়াইপানি। যদিও সেসব প্রস্রবণ এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না।কোন ধসের কবলে পড়ে তা কালের গর্ভে চলে গেছে।

এখানে এলে শরীরের রোগ না সারলেও মনের রোগ সারবে তা 100 ভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।থাকার জন্য পাবেন বেশ কয়েকটি হোমস্টে। সবকটি হোমস্টে থেকেই অসাধারণ ভিউ পাবেন। আপনার সামনে দেখবেন কাঞ্চন দা দাড়িয়ে আছে।আর দার্জিলিং আর সিকিমের পাহাড়?সে তো আপনার হাতের মুঠোয়,শুধু ছুঁতে পারবেন না।চারদিকে ঘন পাইনের জঙ্গল আর ঠান্ডা হিমেল হাওয়া আপনার শরীরকে একদম চনমনে করে তুলবে। দুদিন শুধু পায়ে হেঁটেই কেটে যাবে আপনার সময়।সহজ সরল গ্রাম্য মানুষগুলোর জীবনযাত্রা আপনাকে এক লহমায় মুগ্ধ করবে।চার দিকে দেখতে পাবেন কত নাম না জানা ফুল অযত্নে ফুটে আছে। চাইলে আপনি এখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যেতে পারেন লামাহাটা, তাগদা,  দার্জিলিং ও ঘুরে আসতে পারেন মাত্র 1 ঘন্টা সময়ে। হোম স্টে গুলোতে একবার খাবার খেলে আপনি বাড়ির রান্নার স্বাদ সব ভুলে যাবেন।

Jpeg

এখানে রাতের বেলাতেও আপনার জন্য দারুণ চমক অপেক্ষা করছে। রাত হলেই দেখবেন সামনের পাহাড় গুলো এক একটা আস্ত আকাশ হয়ে উঠেছে।আর তাতে জ্বলজ্বল করছে অজস্র নক্ষত্র। রাত যত বাড়বে নক্ষত্র গুলো ধীরে ধীরে তাদের আলো দেওয়া বন্ধ করবে। থাকার জন্য রোভার্স হোমস্টে। বিশেষ হোমস্টে,করুণা হোমস্টে রয়েছে। ডিটেলস আপনারা গুগলে পেয়ে যাবেন।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন:

রেটিং ও কমেন্টস জন্য

নতুন প্রকাশিত

হোম
শ্রেণী
লিখুন
প্রোফাইল