পটলা আজ স্বাধীন । দারুণ স্বাধীনতা সে উপভোগ করে।
রাস্তায় যেখানে সেখানে সে থুতু ও পানের পিক ফেলে নোংরা করে। কেউ কিছু বললেই সে সগর্বে জানায় যে রাস্তা তো কারো বাপের নয় !
..রাস্তায় যেকোনো যুবতী মেয়ে গেলেই পটলা ও ঘোৎনা তার উদ্দেশ্যে বাঁকা বা কোন অশ্লীল মন্তব্য করে। দেশ স্বাধীন, তাই সবার যা কিছু করার অধিকার তো আছেই ! এতে খারাপ কী আছে, পটলা ও ঘোৎনা তা বুঝতে পারে না !
সেদিন একটা লোক বাজার করছিল, ঘোৎনা চট করে তার পকেট সাফ করে দিল ! ..
এগুলো তো স্বাধীন দেশে হতেই পারে, না কি !
ওবাড়ির ছোট ছেলেটাকে পাওয়া যাচ্ছে না । পটলা জানে, ওদের বন্ধু পদাই ওকে আটকে রেখেছে। ওর বাপ ভালো টাকা না দিলে ছাড়বে না। তাতে কী ?! দেশ তো স্বাধীন!
ছেলেটাকে খুঁজতে ওর দিদি রমা এল। সঙ্গে মেয়ে ইন্সপেক্টর সুশীলা।
রমা আর সুশীলার গোটা দশেক থাপ্পড় খেয়ে পদা গড়গড় করে বলে দিল ছেলেটা কোথায়!
একটু দমে গেল পটলা ও ঘোৎনা!
স্বাধীন তো তাহলে সবাই !!..